খনিতে কাজ করতে হবে, বিক্রি করতে হবে শরীরও, বদলে মিলবে ১৫০ টাকা!

Odd বাংলা ডেস্ক: স্বাধীন ভারতেও কঠিন দুর্দশা গ্রাস করে রেখেছে গরিব মানুষদের। দুমুঠো খাবারের জন্য গরিব মানুষরা যে কঠিন লড়াই লড়ে যান, তার ছিটে-ফোঁটাও আমরা ঠান্ডা ঘরে বসে অনুভব করতে পারি না। কিন্তু এই লড়াইয়ের মধ্যে একটু খাবার আর অর্থের বিনিময়ে যখন ধনী মানুষের যৌন লালসার শিকার হতে হয় একরত্তি মেয়েগুলিকে, তখন সত্যিই মনে হয় যে, দারিদ্র যেন তাদের কাছে একটা অভিশাপ।

প্রতিনিয়ত এমনই নারকীয় ঘটনা ঘটে গিয়েছে ভারতবর্ষে, এমনকি লকডাউনের সময়েও! ঘটনাস্থল রাজধানী দিল্লি থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখন্ড অঞ্চলের চিত্রকূট। এখানকার দরিদ্র উপজাতি অধ্যুষিত পরিবারের নাবালিকা মেয়েরা পয়সা রোজগারের জন্য অবৈধ খনিগুলিকে কাজ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ঠিকাদার এবং মধ্যস্থতাকারীরা সহজে তাদের প্রাপ্য টাকা দেয় না! মেয়েদের স্বল্প বেতনের বিনিময়ে তাঁদের শরীর বিক্রি করতে বাধ্য করা হত।

আরও পড়ুন- বিন্নিকে মরতে হবে, কারণ তার জীবনের থেকে আপনার বেশি প্রয়োজন 'মেক আপ কিট'

দারিদ্র এখানে বড় বালাই। আর সেই কারণে, যে বয়সে ছোট ছোট মেয়েরা খেলাধুলো করে, পড়াশোনা করে কাটায় সেই বয়সে এরা নিজেদের পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় এবং খুব অল্প বয়স থেকেই রোজগারের জন্য বিভিন্ন উপায় বেছে নেয়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, এইসব মেয়েদের দারিদ্রের সুযোগ নেয় ওইসব বেআইনি খনির ঠিকাদার এবং মধ্যস্থতাকারীরা। তারা নাবালিকাদের বাধ্য করে তাঁদের দেহ বিক্রি করতে এবং পরিবর্তে তাদের ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। 

কিন্তু বাস্তব চিত্রটা আরও কঠিন। চিত্রকূটের কার্ভি গ্রামের এক নাবালিকা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছে, যখনই তারা কাজের জন্য খনিতে যায়, তখন তাদের এই শর্তে কাজ দেওয়া হয় যে, তাদের দেহ বিক্রি করতে হবে। অভাবী অসহায় মেয়েগুলোর কাছে এছাড়া আর কোনও উপায়ও থাকে না। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। তাঁদের যৌন নিগ্রহ করার পর তাদের পুরো পারিশ্রমিকও দেওয়া হয় না! বড়জোর মেলে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মতো। এরপর যখন তারা বাবুদের ক্ষুধা মেটাতে অস্বীকার করে, তখন তাদের হুমকি দেওয়া হয় যে, তাদের দাবি না মানলে খনির কাজ থেকে বিতাড়িত করা হবে আর কোনওদিনও কাজ দেওয়া হবে না। কিন্তু কাজ না করলে তারা খাবে কি! সেই কারণেই বাবুদের আবদার দিনের পর দিন মুখ বুজে সহ্য করে ওরা। এমন নিয়ম বহাল থেকেছে এই করোনা মহামারির মধ্যেও। লকডাউনেও যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে দরিদ্র উপজাতির মেয়েগুলো!