মহেশের সাথে কী সম্পর্ক ছিল, নিজেই বললেন রিয়ার মা
Odd বাংলা ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর যেসব তারকারা আলোচনায় উঠে এসেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বর্ষীয়ান পরিচালক মহেশ ভাট। দীর্ঘদিনের বলিউড ক্যারিয়ারে বহুবার বহু বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন পরিচালক। অন্য রকমের চিন্তাধারার জন্য পরিচিত মহেশ নিজের কিছু মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখেও পড়েছেন বেশ কয়েকবার।
সম্প্রতি সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন মহেশ ভাট। এমনকি রিয়াকে পুলিশি জেরার পর জানা গেছে পরিচালকই তাঁকে বলেছিলেন সুশান্তের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে।
প্রয়াত অভিনেত্রী পরভীন ববির মতো সুশান্তও একদিন আত্মহত্যা করবে। মহেশ ভাটের এই বক্তব্যের পরেই তোলপাড় হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সুশান্তের আত্মহত্যা করার ভবিষ্যৎবানী তিনি আগেই কিভাবে দিলেন সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
সুশান্তের বাবা কৃষ্ণ কুমার সিং ইতিমধ্যেই ছেলের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। এবার মেয়ের সপক্ষে মুখ খুললেন রিয়ার মা সুহৃতা দাস। তিনি জানান, কিভাবে রিয়া সুশান্তকে সামলে রাখত, তাঁর অসুস্থতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘যখন সকলে সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য দুঃখপ্রকাশ করছে, আমি তোমার পাশে আছি।
আমি দেখেছি কিভাবে তুমি তাঁকে সামলানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছ। একজন মা ও দেশবাসী হিসাবে আমার কর্তব্য সবাইকে বলা যে অবসাদের জন্য মেডিক্যাল সায়েন্সের কাছে কোনও ওষুধ নেই।’
রিয়ার মা আরও লেখেন, ‘যখনই তুমি ভাট সাহেবের অফিসে ছুটে আসতে সুশান্তের জন্য পরামর্শ নিতে আমি তোমার স্ট্রাগলটা লক্ষ্য করতাম। সুশান্তের বাড়ির ছাদের সেই দিনটা কোনওদিন ভুলব না। সবকিছু মনে হচ্ছিল ঠিক আছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ও দূরে সরে যাচ্ছিল। স্যার সেটা দেখেছিলেন। সেই জন্যই তিনি পরভিন ববির উদাহরণ টেনে বলেছিলেন সুশান্তের থেকে দূরে সরে যেতে নাহলে ও তোমাকে নিয়ে ডুববে। তোমার পক্ষে যতটা সম্ভব তার থেকে অনেক বেশি করেছ তুমি।
কিছুদিন আগে একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই রিয়াকে জড়িয়ে ধরে যাবতীয় সমালোচনার উত্তর দিচ্ছেন মহেশ ভাট। তিনি বলেন,মানুষ নিজে যেমন দুনিয়াটাকেও তেমন দেখে। তাতে আমার কিছু করার নেই। আমি জানি এই মেয়েটার সঙ্গে আমার কি সম্পর্ক। কেউ যদি নিজের চরিত্রহীনতার দায় আমার ঘাড়ে চাপায় আমার কিছু করার নেই।
Post a Comment