বিশ্বে প্রথম, মানবদেহে করোনা টিকার পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করল রাশিয়া, কীভাবে হচ্ছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, জেনে নিন


Odd বাংলা ডেস্ক: সারা বিশ্বের একাধিক দেশই লড়াইয়ে নেমেছে, যে কে আগে বাজারে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে পারে। আর সেই লড়াইয়ে নিঃসন্দেহে অনেকটাই এগিয়ে গেল রাশিয়া। কারণ রাশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরপে দাবি করা হয়েছে যে, বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবীর উপর করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  

স্কেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, তারা গত ১৮ জুন-এ করোনাভাইরাসের কারণ হিসাবে সার্স-কোভ-২ (Sars-Cov-2)-এর বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল পরীক্ষা শুরু করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করেছে রাশিয়ার গামালিয়া ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি।

রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে গত ১৬ জুন এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কীভাবে হচ্ছে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল জেনে নিন- 


১) ১৮ জন স্বাস্থ্যকর স্বেচ্ছাসেবীর প্রথম দলকে গত ১৮ জুন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

২) ২০ জন স্বেচ্ছাসেবীর দ্বিতীয় দলটিকে গত ২৩ জুন ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওভাসোলজির প্র্যাক্টিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে।

৩) স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই ছিলেন, তাঁদের বয়সসীমা ছিল ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।

৪)তাঁরা একটি ল্যোফিলাইজড ভ্যাকসিন বা একটি পাউডার পান যা থেকে ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশনের জন্য একটি সলিউশন প্রস্তুত করা হয়।

৫) ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেরই মাথাব্যথা এবং শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর এই লক্ষণগুলি সম্পূর্ণরূপে উধাও হয়ে গিয়েছিল।

৬)অংশগ্রহণকারীদের সেকেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সিঙ্গেল বা ডাবল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

৭) তাঁদের অন্যান্য সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ভ্যাকসিন ইনজেকশন দেওয়ার পরে তাদের ২৮ দিন আইসোলেশনে রাখা হবে এবং তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার পর আরও ৬ মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

৮) আইসোলেশনে রাখাকালীন তাঁদের সাইকোলজিক্যাল সাপোর্টও দেওয়া হচ্ছে।

৯) গামালিয়া ইনস্টিটিউট দ্বারা ডেভেলপ করা এই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মস্কোর বারডেনকো মিলিটারি হাসপাতালেও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

১০) মিলিটারি হাসপাতাল ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময় ওষুধের তরল রূপ ব্যবহার করছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.