ভারতের এই শনি মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ত্রেতা যুগে, বড় ঠাকুর স্বয়ং বিরাজ করছেন এখানে


Odd বাংলা ডেস্ক: সারা দেশে এমন অনেক সুপ্রাচীন মন্দির রয়েছে যেখানে দেবতারা ভীষণরকম জাগ্রত। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে মুরেনা জেলার এন্তিতে একটি শনি মন্দির রয়েছে। মনে করা হয় এটি ত্রেতা যুগের। আর এই কারণেই শনি মন্দিরটি সারা ভারতে প্রসিদ্ধ। ভক্তদের মধ্যে ধারণা, এই মন্দিরে পুজো-অর্চনা করলে শুভ ফল লাভ করা যায়।

প্রচলিত রয়েছে এই শনি পিণ্ডকে হনুমান লঙ্কা থেকে উদ্ধার করে এনে ফেলেছিলেন। পুরাণে রয়েছে, শনিদেবকে কারারুদ্ধ করেছিলেন রাবণ। তখন লঙ্কাকাণ্ড করে হনুমান রাবণের হাত থেকে শনিদেবকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন। মনে করা হয়, সেই সময় থেকে শনিদেব গোয়ালিয়রের কাছে এই জায়গাতেই বিরাজমান রয়েছেন। এক শনিবারে শনিদেবের এই মন্দিরের নির্মাণ শুরু করিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য। এর পরে সিন্ধিয়া শাসকেরা এই মন্দিরের সংস্কার করেন। ১৮০৮ সালে গোয়ালিয়রের তৎকালীন মহারাজা দৌলতরাও সিন্ধিয়া এর দায়িত্ব নেন। ১৯৪৫ সালে দেবস্থান বোর্ডের দায়িত্বে আসে এই মন্দির।

ভক্তদের বিশ্বাস এই মন্দিরের শনি প্রতিমাই হচ্ছে আসল রূপ। শনির প্রকোপে পড়ে হাজার ভক্ত এখানে এসে পুজো করেন। তাঁরা মনে করেন শনির উপসনা করলে সকল মনোষ্কামনা পূরণ হয়। এখানে নাকি পুজো করার পর ভক্তরা নিজেদের কাপড়, জুতো, চপ্পল ইত্যাদি ফেলে রেখে যান। এর ফলে নাকি পাপ ও দারিদ্র থেকে মুক্তি মেলে। হাজার বছর আগের তৈরি এই মন্দিরে বিদেশিদেরও ভিড় লেগে থাকে। শনির শক্তি এই মন্দিরের মধ্যেই রয়েছে বলে মনে করেন। আরও বিশ্বাস করা হয়, তাঁর কাছে এসে দুঃখ-কষ্টের কথা বললে সেগুলি লাঘব হয়ে যায়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.