লকডাউনেই আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখদের চাপ দেওয়া হচ্ছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে
Odd বাংলা ডেস্ক: আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন ভারতের ১১জন নাগরিক, যারা ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছেন। এরা হলেন হিন্দু ও শিখ ধর্মালম্বী। এদের মধ্যে আছেন শিখ স্থানীয় নেতা নিদান সিং সচদেব, যাকে অপহরণ করেছিল দুর্বৃত্তরা। পরে আফগান সরকারের হস্তক্ষেপে ছাড়া পান তিনি।
রোববার দুপুরে দিল্লিতে আসেন ওই ১১ জন।
এদের স্বাগত জানান স্থানীয় অকালি দল ও বিজেপি নেতৃত্ব। ভারতে এসে তারা জানান কীভাবে তাদের ধর্মান্তকরণের জন্য জোর দেওয়া হত ওখানে, অনেক সময় কাফের বলে ডাকা হত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে এই পরিবারদের ভারতে ফেরানোতে আফগান সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে বলা হয় যে কিছু শিখ ও হিন্দু ধর্মালম্বী ভারতে আসতে চেয়েছিলেন, তাদের আমরা সাহায্য করেছি।
চলতি বছর মার্চে কাবুলে গুরুদ্বারে হানায় ২৫ জন শিখ মারা গিয়েছেন। এর দায় নেয় আইসিস। যদিও ভারতীয়রা বিশ্বাস করে এর নেপথ্যে ছিল লস্কর ও হাকানি নেটওয়ার্ক। অনেক আফগান যারা এদিন এসেছেন, তাদের পরিবার ওই সন্ত্রাসবাদী হানায় প্রাণ হারিয়েছেন।
একজন তরুণীও আছেন যাকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে দেওয়া থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেছিলেন।
৮০-র দশকে ২২ হাজারের মত শিখ ও হিন্দু থাকত আফগানিস্তানে। এরপর তালিবানরা আসার পর এই সংখ্যা কমে হয় ১৫ হাজার। এখন মাত্র ১৩৫০ জন হিন্দু ও শিখ আফগানিস্তানে থাকেন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
Post a Comment