নেশা করতে বাধা, মাকেই খুন করল ছেলে, ঘটনা এই রাজ্যেরই


Odd বাংলা ডেস্ক: কী সাংঘাতিক কান্ড! ভোরের আলো ফুটতেই মাকে খুন করলো ছেলে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মেরে খুন করে ফেলল মাকে। নেশার দ্রব্য না পেয়ে রক্ত চড়ে গিয়েছিল মাথায়। তার জেরেই খুন। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির মন্ডলগ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। সকাল হওয়ার আগেই এই খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি দু নম্বর ব্লকের মন্ডলগ্রামের কোটাল পাড়ার ভোর হতে না হতেই হুলস্থূল কান্ড বেঁধে যায়। বাড়ির সামনেই পড়েছিল বন্দনা সরকার নামে ওই মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ। খুনের খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহিলার গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত ছেলে তাপস সরকারকে গ্রেফতার করেছে মেমারি থানার পুলিশ।

অভিযুক্ত ছেলে তাপসের বয়স ২৮ বছর। মন্ডলগ্রামে একতলা দোতলা বাড়ির মাঝে তাদের মাটির বাড়ি। বাবা মায়ের সঙ্গেই সে থাকত। বাড়িতে ছাগল গরুর পাশাপাশি দশ কাটা জমি রয়েছে। সেই জমিতে চাষ করে কোনও রকমে সংসার চলে। কুসঙ্গে মিশে নেশা ধরেছিল তাপস। তার একটি টোটোও রয়েছে। লকডাউনে সেই টোটো বন্ধ ছিল। প্রতিবেশী আত্মীয় পরিজনরা বলছেন, ইদানিং মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিল তার। বেশিরভাগ সময় মাঠে শ্মশানে বসে থেকে দিন কাটাতো।

শুক্রবার ভোর পাঁচটায় বাড়িতে বসে বিড়ি ধরায় তাপস। তা দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন মা বন্দনা দেবী। তিনি বিড়ির প্যাকেট লুকিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে বিড়ি না পেয়ে রাগে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মায়ের গলায় কোপ মারে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় মহিলার। খবর পেয়ে যখন পুলিশ যায় তখন আশপাশ এলাকাতেই ছিল তাপস। সেখান থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দুপুরে সে জানায়, মাকে মেরে ফেলার জন্য খারাপ লাগছে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কেন খুন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ধৃতকে জেরা করা হবে। আগে কোনও ঝগড়া হয়েছিল কিনা, কোনও আক্রোশ ছিল কিনা, নাকি রাগের,মাথায় হঠাৎ খুন সেসব ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.