করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে শিশুদের চোলাই খাওয়ানো হল গ্রামে
Odd বাংলা ডেস্ক: অতিমারী করোনা থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টায় দিনরাত এক করে দিচ্ছেন দুনিয়ার তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। কারণ করোনার মত মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য এখনও কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। করোনার আতঙ্ক থেকে কীভাবে মানব সভ্যতাকে রক্ষা করা যায় তার জন্য সব পক্ষ সমান শক্তি দিয়ে লড়াই করে চলেছে। কিন্তু তার মধ্যেও কোথাও কোথাও ধেয়ে আসছে অন্ধকার।
ভ্রান্ত ধারণার বসে মানুষ একের পর এক ভুল করে চলেছে। তেমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে। ওড়িশার মালকানগিরি জেলার পারসনপলি এলাকার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে শিশুদের মুখে তুলে দেওয়া হল দেশি মদ।
ওড়িশার মালকানগিরির পারসনপালি গ্রামে নাবালকরা যাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেই জন্য দেশি মদ খাওয়ানো হয়। যেখানে ১০-১২ বছরের পঞ্চাশেরও বেশি নাবালককে স্থানীয় দেশি মদ ‘সালাপা’ খাওয়ানো হয়। কার বুদ্ধিতে তাদের এমন মদ খাওয়ানো হচ্ছে, সেটাই এখনও স্পষ্ট নয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, সার বেঁধে বসে আছে শিশু কিশোরের দল।
তাঁদের অভিভাবক থেকে গ্রামের মাথারা মনে করেছেন, দেশি মদ খেলে শরীরে আর করোনা ভাইরাস প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাই আনন্দ করে শিশু কিশোরদেরও দেওয়া হচ্ছে মদ। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। উঠেছে সমালোচনার ঝড়ও। ভিডিওটিতে যাদের দেখা গেছে তাদের কেউই মাস্ক পরা ছিল না, এমনকি সামাজিক দূরত্বের বিধিও মানা হয়নি।
ঘটনা ঘটে যাওয়ার দু’সপ্তাহ পরে এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিক ভাবে ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। শিশুদের এভাবে মদ খাওয়ানোর বিষয়টিতে স্তম্ভিচ চিকিৎসকরাও। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন, অ্যালকোহল পান করোনো ভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে না। তাছাড়া সংক্রমণ চোখ, নাক এবং মুখ দিয়ে হয়। শ্বাসতন্ত্রকে কব্জা করে এই ভাইরাস।
ওড়িশার ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের মদ খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং শিশু কিশোরদের নেশা দ্রব্যের থেকে দূরে রাখতে বলা হয়েছে। শিশুদের মদ দেওয়া একটি অপরাধ। বাচ্চাদের মদ দেওয়া প্রসঙ্গে মালকানগিরির জেলা কালেক্টর মণীশ আগরওয়াল জানান, আবগারি সুপারিনটেন্ডেন্ট সেখানে তদন্তের জন্য গেছেন।
Post a Comment