'করোনার ভ্যাকসিন এলে আমরা দেশের কোণায় কোণায় তা পৌঁছে দেব', ভরসা দিলেন নীতা আম্বানি


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের বহু দেশ। কে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আসবে তা নিয়ে শুরু হয়ে এক অঘোষিত প্রতিযোগীতাও। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন করোনার টিকা আবিস্কার হলেও তা প্রথমে কারা পাবেন? সমাজের সব স্তরের মানুষ কি করোনার ভ্যাকসিন পাবেন। এর উত্তর নিয়ে হাজির হলেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন তথা প্রতিষ্ঠাতা নীতা আম্বানি। তিনি জানিন, করোনার ভ্যাকসিন যখনই বাজারে আসবে দেশের প্রতিটি কোণে তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর সংস্থার। 

তিনি আরও বলেন যে, জিও-র ডিজিটাল পরিকাঠামোর সহায়তায় দেশ জুড়ে দ্রুত মেগা-স্কেলে কোভিড পরীক্ষার জন্য রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন সরকার এবং স্থানীয় পৌরসভাগুলির সঙ্গে একজোট হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রিলায়েন্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় দাঁড়িয়ে নীতা আম্বানি আরও বলেন, 'আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, ভ্যাকসিনটি আমরা দেশের প্রতিটি কোণায় যাতে  পৌঁছে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ডিজিটাল বিতরণ এবং সরবরাহ পদ্ধতি ব্যবহার করব।' 

ভারতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য মানুষের ওপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার, আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ বলরাম ভর্গভ বলেছিলেন, 'যেহেতু ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহত ভ্যাকসিন উৎপাদক, তাই করোনভাইরাস সংক্রমণের শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলার জন্য ভ্যাকসিনের দ্রুত বিকাশ করা দেশের নৈতিক দায়িত্ব।'

ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল-এর (ডিসিজিআি) তরফে দুটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি বানিয়েছে আইসিএমআর-এর সঙ্গে কোলাবোরেশন করে ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। আর দ্বিতীয়টি বানিয়েছে ডাইদাস কাডিলা হেল্থকেয়ার লিমিটেড(Zydas Cadila Healthcare Ltd), যা হিউম্যান ট্রায়ালের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে যাবে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.