রামমন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হল ১ কুইন্টাল সোনা



Odd বাংলা ডেস্ক:  শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের (Shri Ram Janmabhoomi Teerth Kshetra Trust) অধ্যক্ষ মহন্ত গোপাল দাস৷ শনিবার তিনি ১ কুইন্টাল সোনা ও রুপো মন্দির ট্রাস্টকে দিয়ে দেন৷ মহাসচিব চম্পত রায়কে এই এক কুইন্টাল সোনা ও রুপো তুলে দেওয়া হয়৷ রামলালা-র আধারশিলা স্থাপিত হওয়ার আগে ভক্তরা সোনা ও রুপো দিয়েছিলেন এদিন সেগুলি তুলে দেওয়া হয়৷ 

ভক্তরা রামমন্দির ট্রাস্টের অধ্যক্ষ ও মহাসচিবকে এতদিন ধরে টাকা দান করেছিলেন সেই টাকা বর্তমানে ৩০ কোটি টাকা৷ রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মহাসচিব চম্পত রায় জানিয়েছেন রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে গত ২ মাসে ট্রাস্টের অধ্যক্ষ মহন্ত নৃত্য গোপাল দাসের কাছের দান আসছিল৷ প্রচুর ভক্ত প্রচুর রুপো দান করছিলেন৷ ভক্ত মণিরাম দাস ছাবনী ৪০ কিলো রুপো দিয়েছিলেন৷ এছাড়াও অনেক ভক্তই ১০ কিলো, ৫ কিলো, ১ কিলো করে প্রচুর ধাতু দান করেছেন৷ 

আর এই দিয়েই সেটা ১ কুইন্টালে পৌঁছেছে৷ যাতে এই বিপুল পরিমাণে ধন সুরক্ষিত থাকে তাই তা ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য সমস্ত তীর্থক্ষেত্রের মাটি ও সমস্ত নদীর জল নিয়ে আসা হয়েছিল৷ এখনও তা এসেই চলেছে৷ ভারতের প্রাচীন তীর্থক্ষেত্রের, সমস্ত সমুদ্র সরোবর, কুণ্ড,ও নদীর জল রোজ প্রতিনিয়ত আসছে৷ শনিবার বুলন্দশহরের দ্বাদশ মহা লিঙ্গেশ্বর মহাপীঠ ১১ বছরের মন্ত্রপূত রুদ্রাক্ষ, ২১ বছরের মন্ত্রপূত রুপোর মুদ্রা, ১২ জ্যোতির্লিঙ্গের মাটি, জল , নাগনাগিনীদের থেকে বাস্তুদোষ মুক্তকারক যন্ত্র , নটি রত্ন সব রাম জন্মভূমি ট্রাস্টকে দেওয়া হয়েছে৷ 

ট্রাস্টের সদস্য জানিয়েছেন এই সমস্ত জিনিস মাটির তলায় ভিত্তির জায়গায় পুঁতে দেওয়া হবে৷ খুব দ্রুত এই ভিত তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলে রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে৷ ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী আধারশিলা স্থাপনের কাজ করেছিলেন৷ এর অনেক থেকেই ভক্তরা রামমন্দিরের জন্য সোনা ও রুপো দিচ্ছেন৷ ট্রাস্ট সেটা একেবারে সরকারিভাবে গ্রহণ করে তার ঘোষণা করছে ৷ 

অধ্যক্ষ মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস জানিয়েছেন রামমন্দির নির্মাণের জন্য ভক্তরা এই টাকা দিচ্ছেন৷ তাই দান আসা মাত্রই তা ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ তবে মোট কত সোনা -রুপো জমা হয়েছে তার পুরো হিসেব এখনই বলা সম্ভব নয়৷
Blogger দ্বারা পরিচালিত.