টেরই পেল না নাসা, একটুর জন্য ভয়াবহ ক্ষতি থেকে বেঁচে গেল পৃথিবী!



Odd বাংলা ডেস্ক: টেরই পেল না নাসা, একটুর জন্য ভয়াবহ ক্ষতি থেকে বেঁচে গেল পৃথিবী! এত দিন মনে করা হত, তেমন তেমন উল্কাখণ্ড পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এলে অনেক আগে থেকেই টের পাবে নাসা বা তার মতো মহাকাশবিদ্যাকেন্দ্রগুলো। কিন্তু সব সময় যে তা নাও হতে পারে, তার প্রমাণ ২০২০ কিউজি। গত ১৬ অগস্ট এই নামের উল্কাখণ্ডটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে গিয়েছে। কী হতে পারত সেটি আরও কাছে চলে এলে? ছকোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবী থেকে ডাইনোসরদের চিরতরে বিদায় নেওয়ার পিছনে কার অবদান ছিল? এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে নানা তত্ত্ব থাকলেও, সবচেয়ে জবরদস্ত তত্ত্ব নিঃসন্দেহে উল্কাখণ্ডের আড়ে পড়ার। 

প্রায় কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই পৃথিবীর বুকে এসে। আঘাত করেছিল বিশালাকার উল্কাখণ্ড। যদিও পূর্বাভাস পেলেই বা ডাইনোসরদের মতো অতিকায় প্রাণীরা কী করত? বড়জোর আরেকটু বেশি ছোটাছুটি। কিন্তু বড় উল্কাখণ্ডের পৃথিবীর বুকে নেমে আসার পূর্বাভাস পেলে মানুষের অনেক কিছু করার আছে। কী কী করার আছে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা হলিউডের সিনেমা আমাদের দিয়েছে। কিন্তু যদি পূর্বাভাস না থাকে? মানুষও কি ডাইনোসরদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে? হালে কোনও পূর্বাভাস ছাড়া পৃথিবীর কানঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়া উল্কাখণ্ডের ঘটনা এমনই নানা প্রশ্ন তুলেছে নতুন করে। এত দিন মনে করা হত, তেমন তেমন উল্কাখণ্ড পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এলে অনেক আগে থেকেই টের পাবে নাসা বা তার মতো মহাকাশবিদ্যাকেন্দ্রগুলো। কিন্তু সব সময় যে তা নাও হতে পারে, তার প্রমাণ ২০২০ কিউজি। 

গত ১৬ অগস্ট এই নামের উল্কাখণ্ডটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে গিয়েছে। খুব কাছ দিয়ে বলতে ১৮৩০ মাইল। আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্র ভূতল থেকে ২৫৪ মাইল দূরে থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। নাসা তো বটেই, ২০২০ কিউজি-র ধেয়ে আসার কথা টের পায়নি আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রও। ফলে ভবিষ্যতে যদি এ রকমই কোনও উল্কা পৃথিবীর আরও কাছে চলে আসে, তবে আমাদের বিশেষজ্ঞমহল তা আগে থেকে টের পাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.