সবচেয়ে বড় কুমির সংরক্ষণকেন্দ্র করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত



Odd বাংলা ডেস্ক: এখন বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষ করা হয়ে থাকে। এশিয়া মহাদেশেও কুমির চাষ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে এশিয়া মহাদেশেরই রয়েছে সবচয়ে বড় কুমির রক্ষণা বেক্ষকেন্দ্র। করো’নার থাবা বসেছে এই কুমির রক্ষণা বেক্ষণকেন্দ্রেও। বছরে ৫০ লাখ লোক কম করে আসতেন ভা’রতের এই পার্কে। শি’শু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, বছরভর নানা বয়সী লোকজন আসতেন কুমীরদের দেখতে। কিন্তু গত মা’র্চ মাস থেকে সেখানে একজনও আসেনি। ফাকা পার্ক। করো’নার আবহে প্রবল আর্থিক টানাটানির মধ্যে পড়েছে মাদ্রাস ক্রোকোডাইল পার্ক। এখানে অবলা প্রা’ণীদের রোজ খাবার জোগানোর মতো টাকাও নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। সব মিলিয়ে দুহাজার কুমীর ও ঘড়িয়াল রয়েছে সেখানে।এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ও টিকটিকি রয়েছে। এশিয়ার সব থেকে বড় কুমীর সংরক্ষণকেন্দ্র মাদ্রাস ক্রোকোডাউল পার্ক। কিন্তু করো’নার এই পরিস্থিতিতে এই পার্কের অস্বিত্ব বিপন্ন। সর্প বিশেষজ্ঞ Romulus Whitake ১৯৭৬ সালে এই পার্ক তৈরি করেন। চেন্নাই থেকে ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত এই পার্ক। পার্কের ডিরেক্টর অষষরিহ ঔবংঁফধংধহ জানিয়েছেন, এই চার মাসে ১.৪০ কোটি টাকা তাঁদের ক্ষতি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে এবার সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যের আর্জি জানানো হয়েছে। পশুপ্রে’মীরা যদি এগিয়ে আসেন তা হলে এই পার্কের অবলা প্রা’ণীগুলোর দুবেলা খাবার জুটতে পারে। কারণ, করো’নার এই পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে পার্ক খোলার কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.