ভারি বৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘর-ভিজেছে বই, অসহায় আদিবাসী মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ এবং রাজ্য প্রশাসন


Odd বাংলা ডেস্ক: অসহায় মানুষের আর্তিতে বারবারই কেঁদে উঠেছে যাঁর প্রাণ তিনি সোনু সুদ। পর্দার খলনায়ক মহামারি কবলিত মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন বাস্তব জীবনের হিরো। একদিকে যখন করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব অন্যদিকে দেশের একাধিক প্রান্ত এখন বন্যায় কবলিত। 

ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ছত্তিশগড়ের একাধিক জেলা জলমগ্ন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বন্যার জেরে বিধ্বস্থ। ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে বিজাপুর জেলার কোমলা গ্রামে আদিবাসী কন্যা অঞ্জলীর বাড়ি। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভেঙে গিয়েছে অঞ্জলীর ঘর এবং বৃষ্টির জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাঁর সমস্ত বইপত্র। সেশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-তে দেখা গিয়েছিল বই হারিয়ে মাথার ছাদ হারিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে অঞ্জলী। 

বন্যার জেরে সে তাঁর বাবা-মা এবং অন্যান্য গ্রামবাসীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন বটে, কিন্তু ফিরে এসে ঘরের এমন তছনছ অবস্থা এবং ভেঙে পড়া ছাউনির মাঝে অঞ্জলীর অসহায়তা বহু মানুষকে নাড়া দিয়েছিল। এই ভিডিও সোনু সুদের নজরে আসা মাত্রই তিনি ওই তরুণীকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সোনু অঞ্জলীকে নতুন বই এবং নতুন ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। 

তবে একইসঙ্গে বিজাপুর জেলা প্রশাসনও মেয়েটিকে সাহায্যে এগিয়ে আসে। প্রশাসনিক কর্তারা অবশ্য জানিয়েছে, কোনও অভিনেতার প্রতিশ্রুতির পর তাঁরা সাহায্য করতে আসেননি। তাঁরা নিজস্ব তৎপরতা নিয়েই মেয়েটির পাশে দাঁড়াতে এসেছেন। প্রশাসনের তরফে মেয়েটিকে ১,০১,৯০০ টাকার একটি চেক তুলে দেওয়া হয় এবং সেইসঙ্গে এক ব্যাগ ভর্তি বইও উপহার দেওয়া হয়। অঞ্জলী ক্লাস ১২-এর পরীক্ষায় পাশ করে প্রি-এগ্রিকালচার টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.