'ভাল বাড়ির মেয়েরা সিনেমায় অভিনয় করে না', ৩০ বছর আগে শুনেছিলেন অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী, এই নিয়ে কী মত নায়িকার
Odd বাংলা ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নানারকমের মন্তব্য করেছেন অনেক বিশিষ্ট জনেরা। এবার নিজের বক্তব্য জানালেন অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। তিনি মনে করেন, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির আগের থেকে অনেক বদল হয়েছে এবং বলিউডে ফিল্মের সেট ডিজাইনিং থেকে শুরু করে মেক-আপেও আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে কাজ হচ্ছে।
'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া' ছবি অভিনয়ের সুযোগ আসার সময় তিনি ফিল্মি দুনিয়ায় আসতে আগ্রহী ছিলেন না। যদিও তিনি 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া' সিনেমায় সলমন খানের বিপরীতে অভিনয় করার পর সকলের কাছেই প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। সম্প্রতি স্বজন পোষণ নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক সম্পর্কে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'আমার নিজের কোনওদিন কোনও খারাপ অভিজ্ঞতা হয়নি। তবে কিছুক্ষেত্রে মনে হয়েছিল কাজ হবে, কিন্তু পরে থেকে, তা আর হয়ে ওঠেনি। আমি এখন একে একটা শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হিসাবেই নিই, সম্ভবত আমার মধ্যে থাকা কোনও খামতির জন্য আমি সেসব কাজ করে উঠতে পারিনি। প্রসঙ্গত, ৫১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর ছেলে অভিমন্যু দাশানিও সিনেমা জগতে পা রেখেছেন। অভিমন্যুর প্রথম ছবি হল 'মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা'।
বিশেষত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল মৃত্যুর পর বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক উঠে আসছে। সিনেমা জগতকে সামগ্রিকভাবে নেতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। চলচ্চিত্র জগতকে যাঁরা নিজের রুজি-রুটি করবেন বলে ভাবছেন, তাঁরা আসলে নাম-যশ-খ্যাতি পাওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন, অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রীও কি এমনটাই মনে করেন? নায়িকা জানিয়েছেন, 'যখন আমি সিনেমা জগতে আসব ঠিক করি তখনও অনেকেই বলেছিল সিনেমা জগত মোটেই ভাল জায়গা নয়, কোনও ভাল পরিবারের কেউ এখানে কাজ করে না।' এই ধরনের চিন্তাভাবনা ৩০ বছর আগেও ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলেছে। অন্যান্য ভাল কাজের মতোই এটি একটি কাজ। আগের তুলনায় এখন সিনেমা জগতে বেশি সংখ্যক মেয়েরাই কাজ করে। ছবির সেট ডিজাইনিং থেকে শুরু করে মেক- আপ আর্টিস্ট হিসেবেও মেয়েরা কাজ করছে।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'প্রত্যেকটি মানুষ সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত, তা সে সরাসরি হোক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া। আমরা এখন সুশান্তের অকাল মৃত্যুর কারণেই মানসিক অবসাদ, তার জেরে আত্মহত্যা কিংবা খুন এসব নিয়ে আলোচনা করছি, কিন্তু এগুলো কেবল সিনেমা জগতেই নয় সব জায়গাতেই হচ্ছে। যেমন আমি আগেও বলেছি, জীবনে চলার পথে খুশি থাকা, ভাল থাকা এবং সেই চলার পথে আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোর খেয়াল রাখাটাই বড় কথা। আমরা কতবারই বা একটা মানুষকে জিজ্ঞেস করি যে, সে কেমন আছে। তাঁরা ভাল আছে কিনা সেটা জানার জন্যও আমরা অপেক্ষাও করি না। আমরা সেটা শোনার আগেই অন্য কিছু নিয়ে কথা বলতে শুরু করে দিই। আমরা নিজেদের বাড়িতে থাকা মানুষ গুলোর কথাও অনেক সময় চিন্তা করি না, এটা শুধুমাত্র সিনেমা জগতের ব্যাপার নয়।' তাঁর মতে সিনেমা জগতে এসে নিজের কেরিয়ার তৈরি করা কোনও খারাপ কাজ নয়। অন্য যে কোনও কর্মক্ষেত্রের মতো এখানেও ভাল- খারাপ মিলিয়ে মিশিয়েই রয়েছে।
Post a Comment