এই প্রথম লাইন অব কন্ট্রোলের বিপজ্জনক এলাকায় মোতায়েন করা হল মহিলা সেনাবাহিনি


Odd বাংলা ডেস্ক: এই প্রথম ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হল মহিলা সেনাবাহিনি। লাইন অব কন্ট্রোলের বিপজ্জনক এলাকায় এবার দেশরক্ষায় কাজে পুরুষ সেনাবাহিনির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ব্রতী হলেন অসম রাইফেলস-এর 'রাইফেল ওম্যান'-রাও। অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এবং যুদ্ধের দায়িত্বের জন্য ওই অঞ্চলে মহিলা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারা প্যারামিলিটারি অসম রাইফেলসের একটি অংশ, যারা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রবেশ করেছে। মহিলা সেনারা উত্তর কাশ্মীরের টংধর এলাকায় অবস্থান করছে। সম্ভবত এই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখায় পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদেরও নিয়োগ করল ভারতীয় সেনা।

এছাড়াও এই মহিলা সেনাবাহিনির কাজ হবে এদের কাজ হবে নিয়ন্ত্রণরেখায় চোরাচালান বন্ধ করা এবং জাল নোট, ড্রাগ ও অস্ত্র পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থান করছেন এই মহিলা বাহিনি। এইসব এলাকা দিয়ে প্রায়ই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করারও চেষ্টা করে। ফলে সেদিক থেকে দেখতে গেলে এলাকাটি একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই প্রতিকূলও বটে।


নিয়ন্ত্রণরেখার এই অঞ্চলের টংধর ও তিথওয়ালের মধ্যে ৪০টি গ্রাম রয়েছে। ওইসব এলাকা থেকে বহু গাড়ি সাধানা পাস পেরিয়ে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করে। সেগুলির ওপরে নজর রাখার দায়িত্বও দেওয়া হলে মহিলা বাহিনিকে। গাড়িতে অনেকসময়ে মহিলা যাত্রী থাকায়, এদের তল্লাশি করতে অসুবিধায় পড়েন পুরুষ জওয়ানরা, তবে এবার সেই সমস্যা আর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে মহিলারা সেনাবাহিনীর একটি অংশ ছিলেন তবে তাঁরা সংখ্যায় খুবই কম ছিলেন এবং কেবল অফিসার পদেউই নিযুক্ত ছিলেন। তাঁদের আর্মোর্ড কর্পস, যান্ত্রিক পদাতিক সৈন্যবাহিনিতে যোগদানের অনুমতি ছিল না। কিন্তু গত বছর কর্পস অব মিলিটারি-র প্রায় ৫০জন মহিলাকে জওয়ান বা সেনা হিসাবে নিয়োগ করতে শুরু করে। তারা বর্তমানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.