মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যে যে খাবারগুলি থাকা একান্ত আবশ্যক


Odd বাংলা ডেস্ক: শরীর ভাল রাখার জন্য সুষম আহার গ্রহণ করাটা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষত গৃহবধূদের সময় মতো সুষম আহার গ্রহণ করাটা খুবই জরুরী। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যে যে খাবার থাকা ভীষণভাবে প্রয়োজনীয়, দেখে নিন -

১) প্রাতঃরাশ/ সকালের জল-খাবার- প্রাতঃরাশের আদর্শ সময় সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে। তাই সকালে এমন কিছু খান যা বানাতে খুব কম সময় লাগে, যেমন- দুধ-কর্নফ্লেক্স, জলে ভেজানো শুকনো ফল, ওটস বা ডিমসেদ্ধ। 

এরপর ঠিক ১১টা নাগাদ যদি আবার খিদে পেয়ে যায়, তাহলে এইসব খাবারের যেকোনও একটি খেতে পারেন, তবে এর জন্য উপকরণগুলি আগে থেকে বাড়িতে মজুত রাখবেন বা আগের দিন রাতে ঠিক করে রাখবেন পরের দিন কী কী খাবেন- এর জন্য খেতে পারেন-
  • অল্প তেলে কোনও সবজী বা ছাতুর পরোটা, সঙ্গে দই
  • অমলেট ও পাউরুটি
  • উপমা 
  • স্যান্ডউইচ এবং চা বা গ্রিন টি
  • আপনার পছন্দের সবজী দিয়ে পরোটায় মোড়া ভেজিটেবিল রোল 
  • সঙ্গে খান জুস বা ডাবের জল
  • প্রাতঃরাশ এবং দুপুরের খাবার খাওয়ার মাঝে অন্তত একটি মরশুমি ফল খান।


২) দুপুরের খাবার- দুপুরের খাবার খেতে হবে ১-১.৩০-এর মধ্যে। আর দুপুরের খাবারে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান- 
  • লেন্টিল/পাউরুটি, ভাত, সবজী এবং দই
  • ভাত অথবা রুটি, বিনস, টক দই, আচার
  • ভাত বা রুটি, ছোলার ডাল, টক দই
  • ভাত বা রুটি এবং মুরগী অথবা খাসির মাংস (ডাক্তারের পরামর্শ মেনে)
  • ভাত বা রুটি বা পাউরুটি, সোয়বিন, টক দই
  • তবে ওজন বেড়ে যাওয়ার চিন্তা থাকলে ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। 


৩) বিকেলের টিফিন- বিকেলের টিফিনের আদর্শ সময় হল ৪-৫.৩০। এইসময়ে চা, বিস্কুট, মুড়ি, বা ঘরে তৈরি ডায়েট মিক্সার, ভাজা ছোলা এবং গুড়, ফলের রস এবং বাদাম ইত্যাদি। 

৪) রাতের খাবার- চেষ্টা করুন সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিতে। প্রথমে হয়তো একটু অসুবিধা হবে কিন্তু কয়েকদিন অভ্যেস করে দেখুন, কোনও অসুবিধাই হবে না। রাতের ডায়েটে থাকুক- 
  • রুটি এবং সবুজ শাকসবজী (আলু, বাধাকপি, কড়াইশুঁটি, গাজর, বীট)
  • সেদ্ধ বা রোস্ট করা মুরগীর মাংস এবং সালাদ
  • এক বাটি মুসুর ডাল এবং সালাদ
  • রুটি ও ডিমের তরকারি বা সেদ্ধ ডিমও সালাদ দিয়ে খেতে পারেন। 
  • কোনও একদিন রাতে খান শুধুই মরশুমি ফল এবং সবজী সেদ্ধ। 


তবে যাই খান না কেন রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যেন কম থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। তবে শুধু সুষম আহার নয়, এর পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতে জিম বা যোগ ব্যয়াম করাটাও জরুরী। প্রতিদিন অন্তত আধ ঘণ্টা করে অভ্যেস করুন। তবে কোনও সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.