'ভারতের কাছে রাফাল থাকলে কী হবে, আমাদের কাছেও আছে F16', বললেন ইমরান খান



Odd বাংলা ডেস্ক: ইমরান খান ভারতের রাফালের সঙ্গে পাকিস্তানের F16 বিমানের তুলনা করছেন। যা একেবারে যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ দুটি লড়াকু বিমানেরই কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।  কোন যুদ্ধবিমানটা বেশি শক্তিশালী? ভারতের রাফালে, নাকি পাকিস্তানের এফ১৬ বা জেএফ১৭, অথবা চীনের জে২০? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতভেদ থাকতে পারে। তবে এখানে এই তিন যুদ্ধবিমানের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা যাক। এতে অন্তত তুলনামূলক ধারণা মিলবে।

১. পাঁচটি রাফালে যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীতে যোগ হয়েছে। এগুলো ভারতের আম্বালা বিমানঘাঁটিতে যোগ হয়েছে। এতে ভারতের শক্তিমত্তার উত্থান ঘটেছে। ফ্রান্সের কাছ থেকে মোট ৩৬টি রাফালে জেট আনবে ভারত। ২০২১ এর শেষ নাগাদ তাদের হাতে চলে আসবে। তখন তাদের বিমানবাহিনী অন্য দুই দেশের তুলনায় কি আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে? তবে পাকিস্তান এবং চীনও কিন্তু ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমানের মালিক।

২. দ্য স্টেট-অব-আর্ট ৪.৫ প্রজন্মের রাফালে জেট প্রায় শব্দের দ্বিগুণ গতিতে ছুটতে সক্ষম। এটি ঘণ্টায় ২২২২.৬ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এই বিমানের নানাবিধ কার্যক্ষমতা রয়েছে। ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, বিমান প্রতিরক্ষা, গ্রাউন্ড সাপোর্ট এবং আঘাত হানার ক্ষেত্রে রাফালে আকাশে দারুণ ক্ষমতাধর। অন্যদিকে চীনের জে২০ এবং পাকিস্তানের জেএফ১৭ যুদ্ধবিমান যথাক্রমে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৪০০ কিলোমিটার এবং ১৯৭৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম। মাটি থেকে ছোড়া মিসাইল থেকে বাঁচতে রাফালে ৫০ হাজার ফুট পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। আর জে২০ বা এফ১৭ মিসাইল থেকে বাঁচতে যথাক্রমে ৬৫ হাজার ৬২০ ফুট এবং ৫৪ হাজার ফুট পর্যন্ত ওপরে উঠে যেতে পারে। 

৩. চীনর জে২০ চেংদু জেটকে বলা হয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তবে ৪.৫ প্রজন্মের রাফালের সাথে তুলনা করতে গেলে বলতে হয়, জে২০ এর যুদ্ধের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। অর্থাৎ, যুদ্ধক্ষেত্রে এই বিমানের ক্ষমতা এখনো পরখ করা যায়নি। তবে যুদ্ধে রাফালের সক্ষমতা প্রমাণিত। আফগানিস্তান, লিবিয়া এবং মালিতে এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে ফ্রান্স। এছাড়া সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ইরাক এবং সিরিয়াতেই মিশন পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়েছে রাফালে। আবার জে২০ এর তুলনায় বেশি পরিমাণে জ্বালানি ও অস্ত্র বহনে সক্ষম রাফালে। তাছাড়া পাকিস্তানের জেএফ১৭ বিমানও কোনো যুদ্ধে তার ক্যারিশমা দেখানোর সুযোগ পায়নি। 

৪. পাকিস্তানের এফ১৬ যুদ্ধবিমান এএমআরএএএম মিসাইল বহনে সক্ষম, যার বিভিআর (বিয়োন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ) ৭৫ কিলোমিটার। প্রতিটা রাফালে বিমানে অস্ত্র বহনে ১৪টি স্টোরেজ স্টেশন রয়েছে। এতে রয়েছে মেটেওর এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল। এর বিয়োন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটারের বেশি। এটি ঘণ্টায় ৪২২০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। তবে এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪১৪ কিলোমিটার। এই যুদ্ধবিমান বহন করতে পারে এআইএম-৯ সাইডউইন্ডার শর্ট-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, এআইএম এআমআরএএএম মিডিয়াম রেঞ্জ এয়ার-টু-ওয়ার মিসাইল এবং এজিএম৬৫ মাভরিক এয়ার-টু-গ্রাউন্ড মিসাইল। এটা ক্লাস্টার বম্ব, লেজার ও জিপিএস গাইডেড মিসাইল বহনেও সক্ষম। 

৫. রাফালে জেট অনেকগুলো অত্যাধুনিক লিথাল উইপন বহন করতে পারে। এটা স্কাল্প মিসাইল, মিকা এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, এয়ার-টু-গ্রাউন্ড হ্যামার মিসাইল ইত্যাদি বহন করতে পারে। এটা আরো লেজার-গাইডেড বম্ব বহন করে, যাতে বিভিন্ন ধরনের ওয়ারহেড থাকতে পারে। এতে আরো নন-গাইডেড ক্লাসিক বম্ব রাখারও ব্যবস্থা রয়েছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.