আনলক-৪ পর্যায়ে কেমন হবে আপনার লোকাল ট্রেন বা মেট্রো ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, জেনে নিন বিস্তারিত


Odd বাংলা ডেস্ক: নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। করোনা পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরেই শুরু হতে চলেছে আনলক-৪। আর এই পর্বে আরও বেশকিছু বিষয়ে ছাড় দিতে চলেছে কেন্দ্র। তবে সবচেয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে মেট্রো রেল ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা নিয়ে। যদিও মেট্রো ও লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কোনও নির্দেশিকা আসেনি বলেই জানাচ্ছে কলকাতা মেট্রো, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা। 

মেট্রো সূত্রে খবর, ট্রেন চালানোর অনুমতি মিললেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই ট্রেন চালাতে চায় মেট্রো কর্তারা। আপাতত অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে কম সংখ্যক ট্রেন চালানো হতে পারে বলেই খবর রেলসূত্রে। প্রত্যেক স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পরিষেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ও অ্যাপ-নির্ভর করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেক্ষেত্রে মেট্রো প্ল্যাটফর্মে ভিড় নিয়ন্ত্রন করা গেলেও স্টেশনের বাইরে ভিড় জমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষত অফিসের সময়ে স্টেশনে ঢোকার মুখে লাইন দীর্ঘতর হতে পারে। ফলে এই ভিড় নিয়ন্ত্রনের জন্যই রাজ্য প্রশাসনের সাহায্য প্রয়োজন বলেই মনে করছেন মেট্রোরেলের কর্তারা।


ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মেট্রো রেলের পরিকাঠামো কিছুটা থাকলেও লোকাল ট্রেন নিয়ে চিন্তায় রেল কর্তারা। সেপ্টেম্বরেই লোকাল ট্রেন চালুর জল্পনা বাড়ছে। তলে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে হকারদের প্রবেশও নিষিদ্ধ হতে চলেছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে বসানো হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের দোকান। কিন্তু বড় স্টেশনগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা রেলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। হাওড়া ডিভিশনের হাওড়া, ব্যান্ডেল, বর্ধমান বা শিয়ালদা ডিভিশনের বালিগঞ্জ, দমদম, বিধাননগর রোড, বারাসত, নৈহাটি, ব্যারাকপুরের মতো স্টেশনে অফিস আওয়ার্সে ভিড় হয় অত্যাধিক। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, এই স্টেশনগুলিতে সিসিটিভি নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি আরপিএফ কর্মীরাও নজরদারি চালাবেন। এছাড়া হাওড়ার মতো স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা মাপা হবে। অ্যাপ নির্ভর ই-টিকিটের ওপর জোর দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। 


পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, নির্দেশ এলেই পরিষেবা চালু করতে প্রস্তুত তাঁরা। কিন্তু বলাবাহুল্য লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রনই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি স্টেশনে যাতে নির্দিষ্ট প্রবেশপথ দিয়েই যাত্রীরা প্রবেশ করতে পারে সেটা দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, টিকিট ছাড়া কাউকেই স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এমনকি যাত্রীদের জন্য স্টেশনে প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করতে স্টেশন চত্বরে পাঁচিল তোলার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি স্টেশনে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.