১০৩ বছর বয়সে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত দেশের প্রথম মহিলা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এস পদ্মাবতী


Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতের প্রথম মহিলা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এস পদ্মাবতী গত ২৯ আগস্ট ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। জানা গিয়েছে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ন্যাশনাল হার্ট ইন্সটিটিউটের তরফে ৩০ অগাস্ট একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ''ভারতের বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট তথা দেশের প্রথম মহিলা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি মূলত 'গড মাদার অব কার্ডিওলজি' নামেই পরিচিত, সেই ডাক্তার এস পদ্মাবতী গত ২৯ অগাস্ট কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।''

ভারতে কার্ডিওলজির ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য ডাক্তার পদ্মাবতীকে আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি এবং এফএএমএস-এর তরফে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। ভারত সরকার তাকে যথাক্রমে ১৯৬৭ সালে 'পদ্মভূষণ' এবং ১৯৯২ সালে 'পদ্মবিভূষণ'-এ সম্মানিত করেন।

পুদ্মাবতীর জন্ম হয় ১৯১৭ সালে বার্মায়, যা এখন মায়ানমার নামে পরিচিত। তার ঠিক এক বছর বাদেই অর্থাৎ ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারিটি ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই মারণ রোগের কবলে পড়ে সেইসময়ে সারা বিশ্বের ৫০ মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন, (আজকের নিরিখে সংখ্যাটা প্রায় ২০০ মিলিয়ন)।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অর্থাৎ ১৯৪২ সালে তিনি ভারতে পাড়ি দেন। রঙ্গুন মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর পদ্মাবতীদেবী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। ভারতে ফিরে এসে তিনি লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে ডাক্তার পদ্মাবতী 'অল ইন্ডিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীকালে, ১৯৮১ সালে, তিনি 'ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আর সেখানেই তিনি গত ১১ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী 'ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট'-এর উদ্বোধন করেন।

'ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট'-এর তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। শ্বাসকষ্ট এবং জ্বরের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন পদ্মাবতীদেবী। তাঁর উভয় ফুসফুসেই নিউমোনিয়া সংক্রমণ করেছিলেন এবং ভেন্টিলেটর সাপোর্টের প্রয়োজন ছিল। তবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েই মারা যান তিনি। ৩০ অগাস্ট তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.