চিনকে রুখতে ভারতের হাতে আসছে ইসরায়েলের 'ফ্যালকন'


Odd বাংলা ডেস্ক: লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশের জেরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) নজরদারিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। এই উদ্দেশ্যে ইসরায়েল থেকে আরো দু’টি ভয়ঙ্কর ফ্যালকন ‘এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (অ্যাওয়াকস) কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদন মিলতে পারে বলে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর হাতে বর্তমানে তিনটি ফ্যালকন রয়েছে। 

রাশিয়ার তৈরি সামরিক পরিবহণ বিমানে আইএল-৭৬-এ বসানো এই ইসরায়েলি নজরদারি ব্যবস্থার কাজ হল, ভারতীয় বিমান বাহিনীর ফাইটার জেটগুলোকে নিখুঁতভাবে ‘লক্ষ্য’ চিহ্নিত করতে সাহায্য করা। পাশাপাশি, শত্রুপক্ষের বিমানবাহিনীর তৎপরতার উপর নজরদারির কাজও করতে পারে। গত বছর পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি শিবিরে এয়ার স্ট্রাইকের সময় ১২টি মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেটকে সফলভাবে পরিচালনা করেছিল একটি ইসরায়েলি ‘অ্যাওয়াকস’। তবে অ্যাকয়াকসের সংখ্যার হিসেবে চিন এবং পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতীয় বিমান বাহিনীর চেয়ে এগিয়ে। ৪০০ কিলোমিটার পাল্লার তিনটি ফ্যালকন ৩৬০ ডিগ্রি ক্ষেত্র জুড়ে নজরদারিতে সক্ষম। কিন্তু ভারতে তৈরি অ্যাওয়াকস ‘নেত্র’র কর্মক্ষেত্রের পরিধি ২৪০ ডিগ্রি। 

বালাকোট হামলা এবং তার পরবর্তী সময় বিমানযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল ব্রাজিলের এমব্রায়ের-১৪৫ বিমানে বসানো এই নজরদারি ব্যবস্থা। পাকিস্তানের হাতে থাকা চিনা ‘কারাকোরাম ঈগল ডেজডিকে-০৩’ এবং সুইডেনের ‘সাব-২০০০’ অ্যাওয়াকস ভারতীয় ‘নেত্র’র তুলনায় উন্নতামানের বলেই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মত। দু’টি ফ্যালকনের পাশাপাশি সিসিএস আরো কিছু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ছাড়পত্র দিতে পারে বলে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। মোট অঙ্ক হতে পারে প্রায় ২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৪,৭৬৭ কোটি রুপি)। এর মধ্যে ইসরায়েলি নজরদারি ব্যবস্থার জন্য আনুমানিক খরচ ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি। পাশাপাশি, লাদাখে এলএসি-তে মোতায়েন ভারতীয় সেনার ব্যাটালিয়নগুলোর কম্যান্ডারদের দেওয়ার জন্য ২০০টি ট্যাকটিকাল ড্রোন কেনারও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সিসিএস। এর ফলে চীনা সেনাদের গতিবিধির উপর নজরদারির কাজ অনেক নিখুঁত হবে। বেশ কয়েক বছর ধরেই ইসরায়েলে তৈরি ‘হেরন’ সিরিজের নজরদারি ড্রোন ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। চালকবিহীন এই বিমান ৪৫ হাজার ফুট উঁচুতে উঠে ভূপৃষ্ঠে দৃশ্যমান পুরো অঞ্চলের ছবি স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারে। টানা ৩০ ঘণ্টা উড্ডয়নে সক্ষম এই ড্রোন ঘাঁটি থেকে বহু দূরে গিয়েও নজরদারি চালাতে সক্ষম।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.