ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে কুণ্ডলী পাকিয়ে বেরচ্ছে ধোঁয়া, দেখুন সেই রোমহর্ষক ভিডিও


Odd বাংলা ডেস্ক: ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের সাক্ষী রইল ইন্দোনেশিয়া। সোমবার ইন্দোনেশিয়ার পর্বত সিনাবুঙে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। সিনাবুঙ আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের জেরে ৫০০০ মিটারের (প্রায় ১৬,৪০০ ফিট) বেশি উচ্চতা জুড়ে বাতাসে ধোঁয়া এবং ছাই মিশে যায়। বিস্ফোরণের ফলে সম্পূর্ণ সংলগ্ন এলাকা ঢেকে যায় কুন্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়ায়।

এর আগে ২০১০ সাল থেকে সুমাত্রায় আগ্নেয়গিরির গজর্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার ফলে ২০১৬ সালে সুমাত্রায় ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত দেখা গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবুঙ-এ আগ্নেয়গিরিতে বেশ কিছুদিন ধরেই গর্জন ও ছোটো ছোটো কিছু বিস্ফোরণ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। 

সোমবার আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের পর এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে লাভা প্রবাহ হতে পারে।  ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ এবং জিওলজিকাল হাজার্ড মিটিগেশন সেন্টার কর্তৃপক্ষ আর্মেন পুতেরা সতর্কবার্তা জারি করে জানিয়েছেন, এই অবস্থায় মাউন্ট সিনাবুঙ আগ্নেয়গিরির রেড জোন থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল।

আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের জেরে তৈরি হওয়া ধোঁয়ার পুরু আস্তরণে কয়েক মিনিটের মধ্যে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল সংলগ্ন গোটা গ্রাম। নামানতেরান গ্রামের প্রধান -এর কথায়, বিষয়টি অনেকটা ম্যাজিকের মতো। কয়েক মিনিটের মধ্যে গ্রামের চারপাশটা উজ্জ্বল আলো থেকে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যায়। এইভাবে গ্রামটি প্রায় ২০মিনিট পর্যন্ত সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঢাকা ছিল। 

স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান জানিয়েছেন, একেই করোনাভাইরাস মহামারি তার ওপর এই দুর্যোগের জেরে গ্রামের মানুষজন মাস্ক ছাড়াই ছোটাছুটি করতে শুরু করে এবং ভিড় হয়ে যায়। 

প্রসঙ্গত গত ৪০০ বছরে প্রথমবার ২০১০ সালে সিনাবুঙ আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর নিস্ক্রিয় হওয়ার পর আবার ২০১৩ সালে এটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ২০১৬ সালের অগ্ন্যুৎপাতে ৭জন মারা যান, তবে তার আগে ২০১৪ সালের ভয়াবহ অগ্নুৎপাতে প্রায় ১৬ জন নিহত হন। ইন্দোনেশিয়ার লোকালয় অঞ্চলগুলোর আশেপাশে প্রায় ১৩০ টিরও বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এই আগ্নেয়গিরিগুলি থেকেও অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.