মন্দির মানেই ঘণ্টাধ্বনি, কিন্তু জানেন কি মন্দিরে কেন ঘণ্টা ঝোলানো হয়?
Odd বাংলা ডেস্ক: খুঁজলে হয়তো এমন মন্দির পাওয়া যাবে, যেখানে কোনও দেবতার মূর্তি নেই। কিন্তু খুঁজলে হয়তো ঘণ্টাহীন মন্দির খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। ভারতে এমন কোনও মন্দির নেই যার দরজায় ঘণ্টা ঝোলানো থাকে না। ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশের সময়ে এই ঘণ্টা বাজান। মনের অজান্তেই ঘটে যায় এমনটা। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, যে কেন মন্দিরে ঘণ্টা ঝোলানো থাকে? সনাতন শাস্ত্রে এর কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে-
- তামা, রূপা, সোনা, দস্তা ও লোহা— এই পঞ্চ ধাতুতে তৈরি ঘণ্টা পঞ্চভূতের প্রতীক।
- ভক্তের উচ্চারিত 'ওঁ' ধ্বনির সঙ্গে রণন তোলে ঘণ্টাধ্বনি। এতে সৃষ্ট হয় বিশেষ এক ভাব, যা একান্তভাবেই আধ্যাত্মশক্তির উন্মেষ ঘটায়।
- আরতি সময়েও ঘণ্টা বাজানো হয়। মনে করা হয়, ঘণ্টাধ্বনি অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করে। এছাড়াও আরও একটি বিষয় রয়েছে। মনে করা হয়, ঘণ্টাধ্বনি এই সময়ে ভক্তের চিত্তকে একাগ্র করে। পাশাপাশি, আরতির সময় ঘণ্টাধ্বনি করে দূরবর্তী ভক্তকেও সচেতন করা হয়।
- দেবতা সদা জাগ্রত, ঘণ্টাধ্বনি করে তাঁকে জাগানো হয় না নিশ্চয়! বরং ঘণ্টাধ্বনি করে ভক্ত তাঁর নিজের অস্তিত্বকেই জানান দেন। কিন্তু দেবতা তো অন্তর্যামী। আসলে এখানে ঘণ্টা ভক্তের আত্মাকেই তৃপ্ত করে।
- 'স্কন্দ পুরাণ' অনুসারে, মন্দিরে ঘণ্টাধ্বনি মানুষের শতজন্মের পাপস্খালন করে।
- অনেক শাস্ত্র বলে, ঘণ্টা কাল-এর প্রতীক। যুগান্তের সময়ে নাকি শত সহস্র ঘণ্টা ধ্বনিত হবে।
Post a Comment