রাতের বেলা মোবাইল ফোন নিয়ে ঘুমোতে যান? নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন


Odd বাংলা ডেস্ক: ফোন সঙ্গে করে নিয়ে ঘুমানো একদমই উচিত নয়।  হতে পারে বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা। এই স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের যুগে প্রায় সবাই দিনের পর দিন অনিদ্রা, নিঃসঙ্গতা, নৈরাশ্যের সমস্যায় ভুগছে। প্রতিনিয়ত এই সমস্ত সমস্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে শান্তিতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। ইদানীং এই সমস্ত সমস্যাগুলো প্রতি ঘরে ঘরে এমনভাবে জেঁকে বসেছে যে কোনও সমাধানই হয়ে উঠছে না। না পারা যাচ্ছে স্মার্টফোনের নেশা ছাড়তে, না পাড়া যাচ্ছে একে কোনও  ভাল কাজে লাগাতে।

মার্কিন গণমাধ্যম ‘গালুপ পোল’এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, ৬৩ শতাংশ মার্কিন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ঘুমনোর আগে ফোন ব্যবহার করেন এবং এক ঘণ্টার ব্যবধানে একাধিকবার ফোন চেক করেন। অন্য একটি মার্কিন গণমাধ্যম ‘কম্পিউটারস ইন হিউম্যান বিহেভিয়ার’- এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে যারা অন্য ঘরে ফোন রেখে ঘুমান তাদের ঘুম ভাল হয়।

ফোন সঙ্গে করে নিয়ে ঘুমালে কি কি সমস্যা দেখা যেতে পারে- 
  • ক্রনিক স্লিপ ডেপ্রিভেশন
  • কারণে অকারণে উদ্বিগ্ন হওয়া
  • ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমস্যা


২০১৮ সালে ৯৫ জনকে নিয়ে একটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। তাদের দু’টি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। ৫০ জনকে বলা হয়েছিল সারা সপ্তাহ ফোন ছাড়া থাকতে আর বাকি ৪৫ জনকে প্রতিদিনের মতোই ফোন ব্যবহার করতে বলা হয়। পরীক্ষা করার পর দেখা গিয়েছে যারা ফোন ছাড়া ছিল তাদের কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে যেগুলো হল -

১) ফোন ছাড়া থাকার একটা অভ্যেস গড়ে উঠেছিল।
২) উদ্বিগ্নতায় ভোগা অনেক কমে গিয়েছিল।
৩) অনিদ্রার সমস্যা বেশিরভাগই কমে গিয়েছিল।

আর বাকিরা যারা ব্যবহার স্মার্টফোন ব্যবহার করছিলেন তারা এই সমস্ত সমস্যাগুলো ক্রমশ দেখা দিচ্ছিল।  সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে স্মার্টফোন কিংবা ডিজিটাল জীবনযাপনের সঙ্গে আমাদের সংযোগ এবং নির্ভরশীলতা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আমাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। সুতরাং শান্তিতে এবং সম্পূর্ণভাবে সুস্থ শরীরে থাকার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের আর ঘুমানোর জন্য নিজেদের ফোন অন্য ঘরে রেখে ঘুমানো উচিত।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.