মোবাইল বৌদির ফাঁদে তরুণ, ৯ লাখ টাকা উধাও
Odd বাংলা ডেস্ক: স্বামীর বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ নয় লাখ টাকার স্বর্ণ ও আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলার পূর্ব নারান্দী গ্রামের প্রবাসী মতি মিয়ার স্ত্রী নিজা আক্তারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আদালতে মামলা করেছেন স্বামী মতি মিয়া।
মামলায় স্ত্রী লিজা আক্তার, তার পিতা আলী আকবর, মা আছিয়া বেগম, ভগ্নীপতি আব্দুল মালেক, বোন সুবর্ণা আক্তার ও লিজার তৃতীয় স্বামী রমজানকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরে বিষয়টি জনসম্মুখে আসে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার পূর্ব নারান্দী গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মতি মিয়া দীর্ঘদিন ধরে দুবাই চাকরি করেন। মুঠোফোনে পরিচয় হয় একই উপজেলার পোড়াবাড়িয়া গ্রামের আলী আকবরের মেয়ে লিজা আক্তারের সঙ্গে। অতপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত ২২ জানুয়ারি মতি মিয়া ছুটিতে বাড়ি আসেন। লিজার কথামত ২৩ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জে লিজার ভাড়াটে বাসায় দেখা করতে যান মতি মিয়া। ওই বাসায় যাওয়ার পর লিজার পিতা আলী আকবর, ভগ্নিপতি আব্দুল মালেক, মা আছিয়া বেগম ও বোন সুবর্ণা আক্তার জোর করে এফিডেভিটের মাধ্যমে মতি মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেন লিজাকে। পরে ওই বাসাতেই লিজার সঙ্গে ঘর সংসার করতে থাকেন মতি মিয়া। কিছুদিন পর মতি মিয়া কৃষি জমি দেখাশোনা করতে তার গ্রামের বাড়ি নারান্দিতে যান। করোনার কারণে প্রায় তিন মাস স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ থাকে। গত ১৬ জুন স্ত্রী লিজার সঙ্গে দেখা করতে যান মতি মিয়া। বাসায় গিয়ে দেখেন লিজা নেই।
বাসার আলমারী থেকে নগদ ২ লাখ টাকা, আলমারীর ভেতরে থাকা ৬১ হাজার টাকা মূল্যের ৩টি এনড্রয়েট মোবাইল, ১৬ হাজার টাকা মূল্যের ৪টি বাটন মোবাইল, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ মোট ৯ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছেন লিজা। এরপর থেকে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
মতি মিয়া বলেন, লিজা একটি প্রতারক মেয়ে। তার আরও তিনটি স্বামী রয়েছে। আমাকে তিনি মুঠোফোনে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। আমার বাসা থেকে নগদ ২ লাখ টাকাসহ ৯ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লিজা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিক ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Post a Comment