জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০: উদ্বোধনী বক্তৃতায় যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
Odd বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ পরিবর্তীত জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে 'কনক্লেভ অব ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি' নিয়ে উদ্বোধনী বক্তৃতা প্রদান করলেন। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনের তরফে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ৩৪ বছর ধরে চলে আসা শিক্ষানীতির পরিবর্তন করে নয়া ওই জাতীয় শিক্ষানীতির লক্ষ্য হল স্কুল এবং উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কারের পথ সুগম করা। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন সেগুলি হল-
১) 'এটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক যে, জাতীয় শিক্ষানীতি কোনও পক্ষপাতের উদ্বেগ উত্থাপন করেনি। প্রতিটি দেশ তার জাতীয় মূল্যবোধ এবং লক্ষ্য অনুসারে তার শিক্ষাব্যবস্থাকে সংস্কার করে। এক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হল দেশের যুবাদের ভবিষ্যত-প্রস্তুত করে দেওয়া।'
২) "আজ অবধি, আমরা আমাদের শিক্ষানীতিতে কী চিন্তাভাবনা করতে হবে সেই দিকে মনোনিবেশ করে চলেছি। নয়া শিক্ষানীতিতে আমরা 'কীভাবে চিন্তা করব' তে মনোনিবেশ করছি। এই ডিজিটাল যুগে তথ্যের একটি স্ফূরণ রয়েছে, এবং এর মধ্যে দিয়ে, আমরা কোনটা প্রয়োজন নেই তা বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কোনও উদ্দেশ্যই যদি নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে আমাদের যুবারা কীভাবে সৃজনশীল ভাবনা-চিন্তা করতে পারবে, যদি না তারা উৎসাহী হতে পারে। ৫+৩+৩+৪ কাঠামো ১০+২ কাঠামো থেকে অনেকটাই এগিয়ে।"
৩) "জাতীয় শিক্ষানীতি একবিংশ শতাব্দীর ভারতের ভিত্তি স্থাপন করবে। ভারতীয়দের আরও বেশি ক্ষমতা প্রদান করবে এবং সুযোগগুলির দিকে আকর্ষণ করে তুলতে এই জাতীয় নীতিকে আমরা অতিরিক্ত গতি সঞ্চার করেছি। আমরা এমন এক যুগে প্রবেশ করতে চলেছি, যেখানে কোনও ব্যক্তি সারাজীবন কেবলমাত্র একটি পেশাতে আটকে থাকবেন না। এইভাবে একজন তাঁর দক্ষতার পুরর্মূল্যায়ণ করতে সক্ষম হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার সময় আমরা এনিয়ে তর্ক-বিতর্কও করেছি।"
৪) ''ডাঃ কালাম বলতেন - 'শিক্ষার উদ্দেশ্য হল দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি ভাল মানুষ তৈরি করা। আদর্শ মানুষ গড়া কেবল শিক্ষকদের দ্বারাই সম্ভব।' শিক্ষানীতিতে পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য হ'ল জাতিকে আরও উন্নত শিক্ষার্থী, পেশাদার ও উন্নতমানের মানুষ সরবরাহ করা।''
৫) "বহু বছর ধরে গবেষণা ও পরামর্শের পরে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা হয়েছে। এটি নিয়ে সারা দেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্তরের মানুষ একই বিষয়ে স্বাস্থ্যকর বিতর্কে অংশও নিচ্ছেন।"
Post a Comment