রামের পর এবার তৈরি হচ্ছে হনুমান মূর্তি, ২১৫ মিটার উঁচু মূর্তি তৈরিতে ব্যয় হবে ১২০০ কোটি টাকা


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে সম্পন্ন হয়েছে রামমন্দিরের ভূমিপূজন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সোমবার থেকেই শুরু হবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ সরকার ভগবান শ্রী রামচন্দ্রের বিশ্বের দীর্ঘতম মূর্তি স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে রামের মূর্তির পর এবার কর্ণাটকের হাম্পিতে সবচেয়ে বড় হনুমান মন্দির গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূর্তিটি উচ্চতায় রাম মূর্তির চেয়ে ৬ মিটার ছোট হবে। 

হাম্পিভিত্তিক হনুমদ জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট নামে একটি বেসরকারী ট্রাস্ট, আগামী ছয় বছরের মধ্যে হনুমানের জন্মস্থান কিষ্কিন্ধায় ২১৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট একটি হনুমান মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূর্তিটি স্থাপনে আনুমানিক ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মূর্তিটি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ট্রাস্টের প্রধান গোবিন্দানন্দ সরস্বতী স্বামী জানিয়েছেন, 'ভগবান রামের মূর্তিটি ২২১ মিটার লম্বা হবে। আর তাঁর চিরন্তন ভক্ত হনুমানের মূর্তিটি কখনওই তাঁর মালিকের চেয়ে বড় হতে পারে না, সুতরাং ভগবান রামের মূর্তির চেয়ে হনুমান মূর্তিটি ৬ মিটার ছোট করা হবে।'

সাধারণ মানুষের প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে তথা রামায়ণের কাহিনি অনুসারে, বানররাজ সুগ্রীবের রাজ্য কিষ্কিন্ধা বর্তমানে হাম্পির কাছে অবস্থিত। বানররাজ সুগ্রীবের রাজ্য দণ্ডকারণ্যের একটি অংশবিশেষ, যা বিন্ধ্য পর্বতমালা থেকে দক্ষিণ ভারতের দিকে বিস্তৃত। গোবিন্দানন্দ সরস্বতী স্বামী বলেন, 'এখন হাম্পির নিকটে অঞ্জনাদ্রি পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে একটি হনুমানজীর মূর্তি, যেখানে পৌঁছতে ভক্তদের ৫৫০টি সিঁড়ি ভাঙতে হয়। তবে এবার সকলেই যাতে সহজে পৌঁছতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।'

কর্ণাটকের সরকারের তরফে আংশিকভাবে এই প্রকল্পের ব্যয়ভার বহন করা হবে এবং ট্রাস্টের তরফে অনুদানের মাধ্যমে বাকি অর্থ সংগ্রহ করা হবে এই মূর্তি তৈরি করার জন্য। ট্রাস্টের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্দির নির্মাণে তহবিল সংগ্রহের জন্য সারা দেশে হনুমান রথযাত্রার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.