সিন্ধু সভ্যতার আগেও ভারতে ছিল এই জনবসতি, ইতিহাসের হারিয়ে যাওয়া অধ্যায়


Odd বাংলা ডেস্ক: সিন্ধু নদের পাড় ঘেঁষে যে সভ্যতা এক সময় গড়ে উঠেছিল, তা সকলেরই জানা। এবং সিন্ধু সভ্যতা বললেই মাথায় আসে হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোর নাম। মূলত আফগানিস্তান ও পাকিস্তান জুড়েই সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। তবে ভারতের বেশ কিছু রাজ্য থেকেও উদ্ধার হয়েছে সেই সময়ে ব্যবহৃত নানা জিনিস। পঞ্জাব, গুজরাত, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও জম্মু ও কাশ্মীর থেকেই পাওয়া গিয়েছে সব থেকে বেশি নিদর্শন। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, সিন্ধু সভ্যতার আগেও মনুষ্য বসতি ছিল হরিয়ানার হিসার জেলায়। 

রাখিগড়ি নামে একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসের কার্বন-ডেটিং পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সেগুলি খ্রিস্টপূর্ব ৬৫০০ সালের। অন্য দিকে, সিন্ধু সভ্যতার সময় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৩০০ পর্যন্ত। যদিও পরবর্তী সময়ে রাখিগড়িকেও সিন্ধু সভ্যতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাখিগড়িতে প্রথম প্রত্নতত্ত্ব উদ্ধার হয় ১৯৬০ সালে। ঘাঘর-হাকরা দুই নদীর সংলগ্ন এলাকায় প্রথমে সাতটি ঢিবি পাওয়া গিয়েছিল। 

২০১৪ সালে আরও বেশ কিছু ঢিবি উদ্ধার হওয়ার পরে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, মহেঞ্জোদারোর থেকেও বড় এলাকে জুড়ে ছিল রাখিগড়ির জনবসতি। রোজকার জীবনের ব্যবহারযোগ্য জিনিসের পাশাপাশি, রাখিগড়িতে পাওয়া গিয়েছে ৫৩টি কবরস্থান। উদ্ধার করা হয়েছে ৪৬টি কঙ্কাল। এই সব কঙ্কাল ও তার ভিতরে থাকা পরজীবীর ডিএনএ পরীক্ষা করলে সে সময়ের অনেক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হরিয়ানা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাখিগড়ি নিয়ে একটি ভিডিও প্রস্তুত করা হয়েছে। দেখুন সেই ভিডিও—
Blogger দ্বারা পরিচালিত.