স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে একগুচ্ছ প্রোটোকল, রাষ্ট্রপতি ভবনে আমন্ত্রিতের সংখ্যা ১৫০০ থেকে কমে হল ৯০


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরে সমস্ত উৎসব-অনুষ্ঠানের নিয়ম-কানুন কিন্তু এবার সবই আলাদা। সেইরকমই এবারের স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনও অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের আলোচ্য বিষয় হবে দেশের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। সাধরণত রাষ্ট্রপতি ভবনে এই বিশেষ দিনে প্রায় ১৫০০ মানুষ আমন্ত্রিত থাকেন, কিন্তু এবার সেই তালিকায় কাটছাঁট করে তা ৯০-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ভবনে এতদিন যে চিরাচরিত নিয়মনীতি মেনে আসা হয়েছে সেসবেরও সুযোগ থাকবে না এবার। 

জানা গিয়েছে, এবছর কোনও ভিআইপি-র স্বামী বা স্ত্রী আমন্ত্রণ পাবেন না, থাকবে না কোনো খাবারের কাউন্টার, উপস্থিত থাকবেন না কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে অবাধে আলাপ-আলোচনার সুযোগও থাকবে না। কোভিড-১৯ মহামারিকালে যে নতুন প্রোটোকল তৈরি করা হয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম। 

অন্যান্য বছর এই বিশেষ অনুষ্ঠানের সময়সীমা থাকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা মতো, কিন্তু এবছর তা সর্বাধিক ১ ঘণ্টার মধ্যেই সেরে ফেলা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাষ্ট্রপতিভবনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি উদযাপনের স্বার্থে যতটা কম সম্ভব আয়োজন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ করা যাবে না, তাই সীমিত সংখ্যক অতিথি আমন্ত্রণের ক্ষেত্রে তাঁরা একটি যুক্তি প্রয়োগ করেছেন, তা হল ব়্যানডম তথা এলোমেলোভাবে অতিথি আমন্ত্রণ করা হবে। 

ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছন, এর ফলস্বরূপ, রাজ্যের মন্ত্রীদের এবং মন্ত্রীসভার সদস্যদের আমন্ত্রণ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়া সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা (প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, বৈদেশিক বিষয় ও অর্থ) এবং কয়েকজন প্রবীণ মন্ত্রীর আমন্ত্রিত হবেন। আমন্ত্রিতের তালিকায় মন্ত্রীদের সংখ্যা ১০-এর বেশি নাও হতে পারে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.