টিকা ১২ আগস্ট নথিভুক্ত করতে চায় রাশিয়া



Odd বাংলা ডেস্ক: সব ঠিকঠাক চললে রাশিয়া হতে চলেছে করোনার প্রথম টিকা প্রস্তুতকারী দেশ। রুশ সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক নিউজ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নথিভুক্ত করতে চলেছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। দেশের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলেগ `গ্রিদনেভ গতকাল জানিয়েছেন, আগামী ১২ আগস্ট করোনার প্রথম টিকাকে নথিভুক্ত করা হবে। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো বলছেন, অক্টোবর থেকেই ওই টিকার গণ-উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। 

এই প্রক্রিয়ার পুরো খরচ বহন করবে সরকার। গ্রিদনেভ বলেন, বর্তমানে ট্রায়াল প্রক্রিয়া তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ে আছে। এই ট্রায়ালগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এটা বুঝতে হবে যে ভ্যাকসিনকে নিরাপদ হতে হবে। শুরুতে দেশের চিকিৎসাকর্মী ও প্রবীণ নাগরিকদের ওপর টিকা প্রয়োগ করা হবে। উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রিদনেভ আরো বলেন, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও গামালেয়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই টিকার কার্যকারিতা তখন বোঝা যাবে যখন দেশবাসীর শরীরে করোনা মোকাবেলায় প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। 

 বর্তমানে দুটি পৃথক জায়গায় এই টিকার প্রয়োগ-পরীক্ষা চলছে—বুরদেঙ্কো মেইন মিলিটারি হাসপাতাল ও শেচেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি। জানা গেছে, রুশ টিকার দুটি পৃথক উপাদান আছে। সেগুলো আলাদা আলাদাভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। রুশ সরকারের ভাষ্য, এর ফলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। রুশ সরকারের দাবি, যারা এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে, তাদের সবার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১৮ জুন এই ট্রায়াল শুরু হয়। অংশ নিয়েছে ৩৮ জন। এর মধ্যেই রাশিয়ায় আরেকটি টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে। সেটি তৈরি করেছে ভেক্টর স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি। 

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, আগামী নভেম্বর থেকেই তারা এই টিকা উৎপাদন শুরু করতে পারবে। অবশ্য নিজেদের টিকা নিয়ে রাশিয়া আশাবাদী হলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বহু দেশ। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, চীন ও রাশিয়া টিকা তৈরি করলে তারা তা ব্যবহার করবে না। যুক্তরাজ্য গতকাল বলেছে, রাশিয়ার টিকা তারা নেবে না। তাদের এই মন্তব্যের কারণ একটাই—এত তাড়াহুড়া করে টিকা তৈরি করা হলে তাতে ঝুঁকি থেকে যায়। নথিভুক্ত হতে যাওয়া রাশিয়ার টিকাটির প্রথম ধাপের হিউম্যান ট্রায়ালের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গত ১৩ জুলাই। এরপর এত কম সময়ের মধ্যে বাকি দুটি ধাপের ট্রায়াল হওয়ায় টিকাটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্র : এবিপি আনন্দ, আনন্দবাজার।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.