সুশান্তের মানসিক অসুস্থতা নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন দিদি প্রিয়াঙ্কা, প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর কথোপকথন


Odd বাংলা ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। প্রকাশ্যে এল নয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, যার জেরে সুশান্ত মৃত্যু রহস্য এখন অন্য খাতে বইছে। প্রথম থেকেই বলা হচ্ছিল সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে একেবারেই অবগত ছিল না সুশান্তের পরিবার। কিন্তু প্রকাশ্যে আসা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কিন্তু অন্য কথা বলছে। যা প্রমাণ করে সুশান্তের মানসিক অসুস্থতার কথা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। 

ভাইরাল হওয়া সেই চ্যাটে দেখা গিয়েছে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন চেয়ে পাঠানো থেকে শুরু নতুন ওষুধ প্রেসক্রাইব করা- সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে এসব কথা হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের। পাশাপাশি রিয়ার আইনজীবি দাবি করেছেন প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সুশান্তের ওষুধ বদল করেছিলেন তাঁর দিদি। আর সেই জন্যই নাকি রাগ করে সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে গত ৮ জুন বেরিয়ে গিয়েছিলেন রিয়া। 


এই সেই কথোপকথন-


এর আগে সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় সুশান্তের পরিবার দাবি করেছিলেন তাঁর মানসিক অসুস্থতার কথা বিন্দুমাত্র জানতেন না তাঁরা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদীর কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন চেয়ে পাঠান অভিনেতার দিদি মিতু। এমনকি যে ডাক্তার সুশান্তকে দেখছিলেন তাঁরও যাবতীয় তথ্য শ্রুতিকে দিতে বলেন তিনি।




সুশান্ত এবং তাঁর দিদি প্রিয়ঙ্কার চ্যাট থেকে জানা গিয়েছে, গত ৮ জুন প্রিয়ঙ্কার দিদি তাঁর ভাইকে লিব্রিয়াম, নেক্সিটো ১০ এবং লোনাজেপ নামে তিনটি ওষুধ খেতে বলেন। সুশান্ত বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই সব ওষুধ পাওয়া যাবে না। তখন প্রিয়াঙ্কা সুশান্তকে বলেন, তাঁর এক বন্ধু ডাক্তার প্রেসক্রিপশন তৈরি করে দেবে। পাশপাশি এ-ও বলেন, মুম্বইয়ের অন্য ডাক্তারের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দেবেন প্রিয়ঙ্কার সেই বন্ধু। প্রিয়ঙ্কা লেখেন, সব গোপনই থাকবে। এর পরেই সুশান্তকে প্রেসক্রিপশনের অ্যাটাচমেন্ট পাঠান প্রিয়ঙ্কা। সঙ্গে লেখেন, যদি কেউ বলে দিল্লির প্রেসক্রিপশন কেন তা হলে যেন সে বলে দেয়, অনলাইন কনসাল্টেশন।

যে তিনটি ওষুধ প্রিয়ঙ্কা তাঁর ভাইকে নিতে বলেছিলেন তার মধ্যে লিব্রিয়াম আদতে হিপ্নোটিক মেডিসিন যা অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা এবং মদ ও অন্যান্য মাদকের আসক্তি কাটাতে ব্যবহার করাহয়। নেক্সিটো ১০ প্যানিক ডিজঅর্ডার কাটাতে ব্যবহার করা হয়। লোনাজেপ সাধারণত মৃগী রোগীর ওষুধ।রিয়ার আইনজীবীর প্রশ্ন, প্রথম থেকেই যে তাঁরা বলে এসেছিলেন সুশান্তের অসুখ সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না তাঁদের, তবে কেন সুশান্তকে এই ধরনের ওষুধ খেতে বললেন তাঁর দিদি? তিনি বলেন, রিয়া যদি ওষুধ দিয়ে থাকেন তাঁর দিদিও তো দিয়েছেন। তবে সে কথা চেপে গেলেন কেন তাঁরা? প্রশ্ন এবং পাল্টা প্রশ্নে এখন সরগরম সুশান্ত মৃত্যু রহস্য।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.