বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ওষুধ খেতেন সুশান্ত, চিকিৎসকের পর এবার এমনটাই বক্তব্য মুম্বই পুলিশের
Odd বাংলা ডেস্ক: তীব্র মানসিক অবসাদ তথা বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন সুশান্তের চিকিৎসক ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডক্টর সুজান মোটাফ ওয়াকার। প্রসঙ্গত, তীব্র মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠারই নামান্তর বাইপোলার ডিসঅর্ডার। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সুজান জানিয়েছেন, সুশান্তের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক ছিল না। বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সুজান-এর কথায়, বাইপোলার ডিসঅর্ডার-এর সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের তীব্র উৎকণ্ঠা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগে ভোগেন। সবসময়েই একটা মানসিক চাপ থাকে যেটা কাটিয়ে উঠতে পারেন না রোগী। সুশান্তের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হয়েছিল।
"Sushant was suffering from bipolar disorder"— Mojo Story (@themojo_in) August 3, 2020
Susan Moffat Walker, #SushantSinghRajput's therapist breaks her silence and says that Rhea Chakraborty was his strongest support as he suffered terrible bouts of depression. @bdutt
Watch full video: https://t.co/IlpMHK8xnB pic.twitter.com/12XweqCOCo
আর এবার চিকিৎসকের এই বক্তব্যে সিলমোহর বসালো মুম্বই পুলিশ। মুম্বই পুলিশ কমিশনাপ পরম বীপ আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তিনি ইন্টারনেটে নিজের নাম খুঁজে দেখছিলেন যে, প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিশা এবং তাঁকে নিয়ে খোনও খবর ছড়িয়ে পড়েছে কি না। কমিশনার আরও জানান যে, এখনও পর্যন্ত আত্মীয়-বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে সুশান্ত ঘনিষ্ট ৫৬ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, যা থেকে মুম্বই পুলিশ জানতে পরেছে যে, সুশান্ত বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন এবং তার জন্য নিয়মিত ওষুধও খেতেন এবং চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। প্রসঙ্গত, এই বাইপোলার ডিসঅর্ডার হল এমন এক মানসিক অবস্থা যেখানে যে কোনও অবস্থাতেই মেজাজ বদলে যেতে পারে। কখনও হাসিখুশি আবার কখনও তীব্র অবসাদে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন রোগী। একই শরীরে এই দুই সত্তা বহন করে চলেন রোগী।
অন্যদিতে সুশান্তের মৃত্যুর জন্য তাঁর গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তী ও রিয়ার পরিবারের কয়েকজনের দিকে আঙুল তুলেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। রিয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০৬, ৩৪১, ৩৪২, ৩৮০, ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় মামলাও দায়ের করেছে সুশান্তের পরিবার। তবে অভিনেতার সাইকো থেরাপিস্ট সুজানের বক্তব্য, রিয়া ছিলেন সুশান্তের সবচেয়ে কাছের মানুষ। চরম মানসিক অবস্থায় রিয়াই ছিলেন সুশান্তের সবচেয়ে বড় সহযোগী। সুশান্তকে মায়ের মতো করে আগলে রাখতেন রিয়া। মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়াকে এনবভাবে হেনস্থার শিকার হতে দেখেই প্রথমবার মুখ খুলছেন বলে জানান সুজান।
Post a Comment