স্বাধীনতা দিবসে চরম হেনস্থা, দলিত পঞ্চায়েত সভাপতিকে পতাকা উত্তোলন করতে দিল না উচ্চবর্ণের মানুষরা!


Odd বাংলা ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীন দেশের নাগরিকের বিরাট অপমান। 'নিম্নবর্ণ'-এর মানুষ হওয়ার জন্য তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষের কাছে চরম হয়রানির শিকার হতে হল গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতির। জানুয়ারি মাসে তামিলনাড়ুতে তফশিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত পঞ্চায়েত সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন আথুপাক্কামে। এরপর থেকে সমাজের তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষের রোষের মুখে পড়েন তিনি। 

এরপর স্বাধীনতা দিবসে আবারও অপমাণিত হতে হল তাঁকে। কেবলমাত্র দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার জন্যই তিরুভাল্লুর একটি স্কুলে তাঁকে জাতীয় পতাকা তুলতে বাধা দেন উচ্চবর্ণের মানুষরা। সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবসের দিনের অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তিনি সেখানে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন, তখন তাঁর কাছে প্রধান শিক্ষিকার আর একটি ফোন আসে। তিনি অনুরোধ করেন পঞ্চায়েত সভাপতি যেন ওই অনুষ্ঠানে না যান। দলিত বৃদ্ধা জানান, প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে জানান, তাঁরা নিজেরাই উদ‍‌যাপন করে নেবেন। 

বিদ্যালয়টি যেহেতু পঞ্চায়েত অফিস লাগোয়া, তাই পঞ্চায়েত অফিসে আর আলাদা করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান হয় না, ওই স্কুলেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বৃদ্ধা আরও বলেন, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তিনি। চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসেও তাঁকে এমন অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছিল। তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসেও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে স্কুলে পৌঁছে যখন পোডিয়ামের দিকে এগোন, তখন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সভাপতি খুব খারাপ ভাবে সবার সামনে তাঁকে হেনস্থা করেন। প্রধান শিক্ষিকাও মর্মাহত হয়েছিলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.