সেই রাতে বাংলার মা-বোনেদের পাকিস্তানি সেনারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, সকালের দৃশ্য ছিল ভয়ঙ্কর



Odd বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি ঢাকার সাথে ‘সম্পর্ক দৃঢ়’ করতে ইসলামাবাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পারস্পরিক বিশ্বাস, পারস্পরিক সম্মান এবং সার্বভৌম সমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক গভীর করতে পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন তিনি। তার এমন বার্তার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইল মিররের ‘গার্লস ফ্রিড ফ্রম পাকিস্তানি হারেমস’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি চলছে। কারণ তাদের ওই প্রতিবেদনটি ওঠে আসে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বারা বাংলার মা-বোনদের ওপর চালানো নির্যাতনের চিত্র। 

 ডেইল মিররের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ‘হারেম’ (প্রাচীনকালে বাড়ির ভেতরে নারীদের থাকার জায়গাকে হারেম বলা হতো) থেকে চার হাজার বাঙালি তরুণীদের উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ব্যারাক থেকে তাদের উদ্ধার করেন রেডক্রসের স্বেচ্চাসেবকগণ এবং মুক্তিযুদ্ধারা। তৎকালিন ঢাকা এবং এর আশেপাশ অঞ্চলের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পগুলো থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। যৌথবাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ বা পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই তরুণীদের ভেতরে রেখে দরজা বন্ধ করে যায় তারা। ওই তরুণীদের উদ্ধার করতে দরজা ভাঙতে হয় যৌথবাহিনীর সদস্যদের। 




 প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, উদ্ধার হওয়া নারীদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ছিল ১৪ থেকে ৩০ বছর। তাদেরকে উদ্ধার করা হয় এলোমেলো অবস্থায়। তাদের অধিকাংশের শরীরই ছিল ঝলসিত। পরনে ছিল ছোট ছোট অন্তর্বাস। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে তারা বিশ্বাস করেননি যে পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের ফুর্তির জন্য সেখানে নেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া অনেক তরুণী তখন জানান, তারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। মার্চে পাকিস্তানিদের অত্যাচার শুরু হওয়ার আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে তাদের ওইসব হারেমে নেওয়া হয়। পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের বহু মাস ধরে চালানো নৃশংসতার ভয়ানক বিবরণও দিয়েছিলেন অনেকেই।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.