এই রাশির জাতকরা থাকে ছদ্মবেশে, আপনি চিনতে পারবেন না



Odd বাংলা ডেস্ক: রাশিচক্রের দশম রাশি মকর। এটি একটি চর ও পৃথ্বীরাশি। এর ঘর শনির। এই রাশির চিহ্ন মকর, যা বস্তুত একটি কাল্পনিক উভচর প্রাণী। তবে, ‘মকর’ শব্দটি দিয়ে কুমিরকেও বোঝানো হয়। প্রাচীন কালে আর্যরা কুমির থেকেই হয়তো কল্পনা করেছিলেন মকর নামক এই প্রাণীটির। যাই হোক, মকর রাশিকে বুঝতে হলে এর প্রতীক চিহ্ন অনুসারে কুমিরের চরিত্রকেই ধরে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, কুমির একটি উভচর প্রাণী। জল এবং ডাঙা— দু’জায়গাতেই এরা স্বচ্ছন্দ। বাইরে থেকে দেখলে কুমিরকে নিরীহ বলে মনে হয়। কিন্তু কুমির আদতে অতি হিংস্র প্রাণী। বড় বড় প্রাণীকে সে দাঁত দিয়ে ছিন্ন-ভিন্ন করতে সমর্থ। এমনিতে এই প্রাণী অলস। কিন্তু সময় বিশেষে এরা অতি ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায়। শিকার ধরার জন্য এরা এমন ভাবে ওৎ পেতে থাকে যে, প্রতিপক্ষ টেরই পায় না এদের উপস্থিতি।

কিন্তু, একথা বিচার করা প্রয়োজন এই ভয়ানক প্রাণীটির সঙ্গে কোথায় মিল রয়েছে মকর রাশির জাতক-জাতিকার।

• বাইরে থেকে কখনই বোঝা যায় না, মকর-জাতক ঠিক কতটা ভোগস্পৃহা অন্তরে পোষণ করে।

• সঠিক সময়ে ধীর গতিতে শনির কুটিল ভাবনায় ভর করে এরা পৃথ্বীরাশির যাবতীয় ভোগসুখ করায়ত্ত করে।

• নিজের প্রকৃত চরিত্রকে গোপন রেখে অভিষ্টে পৌঁছনোর জন্য যে গুণাবলি প্রয়োজন, তা এদের থাকে।

• কুমিরের মতোই এরা ‘উভচর’। অর্থাৎ, অনুকূল ও প্রতিকূল— উভয় পরিবেশেই এরা স্বচ্ছন্দ থাকে।

• যে কোনও পরিস্থিতিতেই মকর-জাতক অন্যের কাছে মনের ভাবনা ব্যক্ত করে না। ফলে এরা অনেক সময়েই তেমন গুরুত্ব পায় না। কিন্তু পরে যখন এরা স্বমহিমায় আসে, তখন অন্যেরা এদের উপেক্ষা করার জন্য গ্লানিবোধে ভোগে।

• সৃষ্টিশীল বা ধ্বংসাত্মক, সব রকম কাজেই এরা সফল হয়। এদের কাজ অন্যদের চমকে দেয়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.