অভিশপ্ত গাড়ি, দেখতে পেলেই মৃত্যু অবধারিত




Odd বাংলা ডেস্ক: টয়োটা, মার্সিডিজ, লিমুজিন-গাড়ি তো কতই দেখেছেন। কিন্তু এমন গাড়ি কি দেখেছেন যেটা নিজ থেকেই চলতে পারে। কেবল চলতে না ঠুকে দিতে পারে যে কাউকেও। লাফিয়ে লাফিয়ে প্রকাশ করতে পারে নিজের আনন্দ? যদি না দেখে থাকেন তাহলে দেখে নিন এ গাড়িগুলোকে। যেগুলোতে আর সব সাধারণ গাড়ির উপাদানের সাথে বাড়তি হিসেবে রয়েছে দু-একটা ভূতও। ভূত? তাও আবার গাড়িতে? হ্যাঁ! কথাটা শুনে আপনাদের যাদের চোখ কপালে উঠল তাদের জন্যেই রইল কিছু ভূতুড়ে গাড়ির সত্যি কাহিনী।

১. নিজে থেকেই চলে যে গাড়ি সাউথ আফ্রিকার কেপ টাউনে থাকতেন এই দম্পতি। যাদের কাছে হঠাৎ করেই সেবার বেড়াতে আসে খুব কাছের আরেক বন্ধু দম্পতি আর তাদের গাড়ি। তখন মাঝরাত। খেয়ে-দেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। আচমকা একটা প্রচন্ড গর্জনের শব্দে ভেঙে গেল স্বামী-স্ত্রী। জানলা খুলে বাইরে তাকিয়ে বেড়াতে আসা বন্ধুদের রেনাল্ট গাড়িটকে দেখতে পেলেন তারা। প্রচন্ড শব্দ করে গর্জাচ্ছে সেটি আর এলোপাথারি ছুটে গিয়ে ভেঙে দিচ্ছে সব গাছ আর বেড়া। প্রথমটায় গাড়ি চুরি করছে কেউ এই ভেবে পুলিশে ফোন করেন তারা। দৌড়ে যান গাড়ির কাছে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, চলন্ত গাড়িটিতে ছিলনা কেউ। পুলিশ এসেও কোন সূত্র বের করতে পারেনি এই গাড়ি রহস্যের। অবশ্য তখন পুলিশের সামনে থেমে গিয়েছিল গাড়ি। তবে পুলিশ যেতে না যেতেই আবার গর্জন করে উপরে নীচে লাফাতে লাগল গাড়িটা (ইয়াহু)। খুব দ্রুতই রেনাল্টকে বাতিলের খাতায় ফেলতে বাধ্য হন এর মালিকেরা।

২. মৃত্যুদূত স্নায়ু যুদ্ধের সময়কার কথা। হঠাৎ করেএকদিন উদয় হল এক ভলগা লিমুজিন গাড়ি। কালো রং এর এই গাড়িটি কোথা থেকে আসতো, কোথায়ই বা যেত কেউ জানেনা। তবে এর সামনে পড়লে যে আর রক্ষা নেই সেটা সবাই খুব ভালো করেই জানতো। আর তাই পারতপক্ষে কেউ পড়তে চাইতো না গাড়িটির সামনে। বিশেষ করে শিশুরা। অন্যথায় মৃত্যুকে নিশ্চিতভাবে বরণ করে নিতে হত তাদের। এখনো অব্দি অনেক অনুসন্ধান করেও ঠিক জানা যায়নি এই রহস্যময় পর্দা দিয়ে ঢাকা গাড়িটির আসল মালিক আর পরিচয়। কেউ বলে শয়তান চালাতো গাড়িটি, কেউ বা কোন পুরোহিত বা নানের ওপর দোষটা চাপিয়ে দেয় (লিস্টভার্স)। তবে গাড়িটা যারই হোক না কেন, আতঙ্ক সবার মনে একদম পুরোপুরিই ছড়িয়ে দিতে পেরেছিল সেটা।

৩. অভিশপ্ত গাড়ি দ্যা গ্রাফ এন্ড স্টিফট অটোমোবাইল কোম্পানির কথা শুনেছেন? একটা সময়, বিশেষ করে প্রথম যুদ্ধের আগে বেশ সফল প্রতিষ্ঠান ছিল এটি। তবে সবার দিন যেমন সমান যায়না, তেমনি দিন একদিন বদলে গেল এই প্রতিষ্ঠানটিরও। সেটাও এই কোম্পানিরই এক গাড়ির ওপর বসে থাকাবস্থায় আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ যখন মারা গেলেন তখন। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি তার। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এই আর্চডিউক। যার ফলে পৃথিবীতে তো বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েই যায়, অভিশপ্ত হয়ে যায় গাড়িটিও। আর্চডিউকের পর গাড়িটি হাতবদল হয় ১৫ জন মালিকের। যাদের ভেতরে মারা পড়েন প্রায় ১৩ জন। তবে এই ১৩ জন বাদেও বেশ কিছু মানুষকে হত্যা করে গাড়িটি। বিশেষ করে সর্বশেষ গাড়িটির মালিক রোমানিয়ার এক ভদ্রলোক নিজের বিয়েতে যাওয়ার সময় পাঁচ বন্ধুসহ মারা যান গাড়িটির হঠাৎ বিগড়ে যাওয়ায়। বর্তমানে এই অভিশপ্ত গাড়িটি রয়েছে অস্ট্রিয়ার এক জাদুঘরে (লিস্টভার্স)।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.