অটোওয়ালার সঙ্গে পালিয়েছে বউ, রাগে স্বামীর অদ্ভুত কাণ্ড, ৭০ জন অটোওয়ালা বিপদে



Odd বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে আহমেদাবাদে। ৩৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রে’প্তা’র করেছে যিনি ৭০ জন অটো ড্রাইভারের ফোন চু’রি করেছেন। শুনলে অবাক হবেন যে, কোনোরকম আর্থিক সংক’টের জন্য নয়, শুধুমাত্র প্র’তি’শোধ নেওয়ার জন্যই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কাটরাজ-কোন্ধওয়া থেকে ক্যাম্প অবধি রুটের অটো চালকদের সাথেই মূলত এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত, আহমেদাবাদের একটি রেস্তোরাঁর প্রাক্তন মালিক, যার নাম আসিফ ওরফে ভূরাভাই আরিফ শেখ, সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে ধরেছিল। 

তিনি ক্যাম্পের নিউ মোদিখানায় থাকতেন। তাকে ম্যা’জি’স্ট্রেট আ’দাল’তে হাজির করা হয়েছিল এবং তাকে ২৭ শে আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হে’ফা’জতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, অ’ভি’যুক্ত কেবল অটোরিকশা চালককেই টার্গেট করছিল কারণ সে তাদের দুর্ভোগ চাইছিল কারণ তার বান্ধবী তার সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং পুনে থেকে অটোরিকশা চালককে বিয়ে করে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশি তথ্যের ভিত্তিতে শেখ তার পিতামাতার ইচ্ছার বিপরীতে আহমেদাবাদের রেস্তোঁরা বিক্রি করার পরে জুনে ২০১৯ সালে তার ২৭ বছর বয়সী বান্ধবীর সাথে পুনে এসেছিলেন, কারণ তিনি তাকে বিয়ে করতে এবং একটি নতুন ব্যবসায় শুরু করে নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন একটি নতুন শহরে। 

তবে দু’দিনের মধ্যেই বান্ধবী তার সমস্ত সম্পদ নিয়ে পালিয়ে গুজরাটে ফিরে যায়। শেখ তার পিছনে পিছনে গেলেও কিন্তু যখন সে তাকে পেল, তখন অনেক দেরি হয়ে গেল। তার প্রেমিকা অটোরিকশা চালককে বিয়ে করে নিয়েছেন। ভাঙা হৃদয় নিয়ে শেখ পুনে ফিরে আসেন এবং তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে কোন্দ্ধায় অদ্ভুত চাকরিতে কাজ শুরু করেন। যাইহোক, অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে তিক্ততা তার মনে থেকে যায়। তিনি অটোরিকশায় কাটরাজ, কোন্দ্ধা এবং ক্যাম্পের মধ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং চালকের স্মার্টফোনগুলি থেকে মনোযোগ সরিয়ে এবং তাদেরকে বিভ্রান্ত করার পরে চু’রি করেছিলেন। 

জিজ্ঞাসাবাদের সময় শেখ পুলিশকে জানায়, অটো চালকদের ফোন চু’রি করার পর সে মনে মনে অনেক স্বস্তি পায়, যেহেতু তারা আর্থিক সমস্যায় পরতে পারে। প্রেমিকার উপর তার কোনোও অ’ভি’যোগ নেই, শেখ-এর গোটা রাগটাই এসে পরে অটো চালকদের উপর। পুলিশ কনস্টেবল প্রদীপ শীতোল, যিনি শেখকে আটক করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, “তার চু’রি’র পদ্ধতি বেশ সোজা এগিয়ে ছিল। তিনি সেই অটোরিকশা ভাড়া করতেন যেগুলি বেশ সাজসজ্জা এবং আলংকারিযুক্ত। জরুরি কল করার অজুহাতে তাদের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে তিনি তাদের স্মার্টফোনগুলি চু’রি করতেন। তাঁর পরিশীলিত পোশাক এবং ভাষা দেখে কেউই তাকে আসল চো’র বলে সন্দে’হ করেনি।”
Blogger দ্বারা পরিচালিত.