রাম মন্দিরকে টলাতে পারবে না তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প, মন্দিরের আয়ু হবে ১০০০ বছর
Odd বাংলা ডেস্ক: ভগবান রামের জন্মস্থান হিসাবে বিখ্যাত অযোধ্যায় এক সুবিশাল রাম মন্দির নির্মাণ এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়েছে।
বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার এই রামমন্দির হতে চলেছে এক অভিনব স্থাপত্যের নিদর্শন। জানা গিয়েছে রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও তা এই মন্দিরের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। এই মন্দিরের আয়ুষ্কাল হবে প্রায় ১০০০ বছর। রাম মন্দিরের স্থপতি আশীষ সোমপুরা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত মন্দিরটি উত্তর ভারতীয় হিন্দু স্থাপত্যের তিনটি প্রধান শৈলীর মধ্যে একটি 'নগর শৈলী'-তে নির্মিত হবে। উত্তর প্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, দিল্লি, পঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের বেশিরভাগ মন্দিরই এই 'নগর শৈলী'-তেই নির্মিত।
আরও পড়ুন- রামের পর এবার তৈরি হচ্ছে হনুমান মূর্তি, ২১৫ মিটার উঁচু মূর্তি তৈরিতে ব্যয় হবে ১২০০ কোটি টাকা
রাম মন্দির নির্মিত হবে নাগারা স্থাপত্যে
রাম মন্দিরের প্রবেশদ্বারটি তুলনামূলকভাবে ছোট হবে এবং উত্তর ভারতীয় নাগারা স্থাপত্যে রীতি অনুসারে আবাসগুলি বড় রাখা হবে। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরগুলিতে, দ্রাবিড় স্থাপত্য রীতির সঙ্গে মিল রেখে তাদের একটি বিশাল প্রবেশদ্বার এবং ছোট আবাস থাকে।
আশীষ সোমপুরা আরও জানান, মন্দিরটির দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করতে মন্দিরের ভূমির ২০০ ফুট নীচের মাটি পরীক্ষা করা হবে এবং মাটির পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী জমির গভীরতা নির্ধারণ করা হবে। এছাড়াও, একবারে ১০ হাজার-এরও বেশি ভক্ত একসঙ্গে ভগবান রামের দর্শন করতে সক্ষম হবেন।
দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে ব্যবহৃত বেলেপাথর ব্যবহার করা হবে
রাম মন্দিরের সমর্থকরা বছরের পর বছর ধরে মন্দিরের জন্য পাথর কেটে এবং সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তবে তাদের মান নিয়ে এখন বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাম মন্দিরের স্থপতি বলেছিলেন যে কেবলমাত্র কর্মশালায় খোদাই করা পাথরই ব্যবহার করা হবে।
রাম মন্দির নির্মাণের জন্য রাজস্থান থেকে আনা হয়েছে বেলেপাথর, যা সবচেয়ে সেরা মানের। দিল্লির বিখ্যাত অক্ষরধাম মন্দিরটিও একই বেলেপাথরে নির্মিত।
Post a Comment