পুরুষের পোশাক পরে মেয়েদের সাথে সমকামী সম্পর্ক, অতঃপর...
Odd বাংলা ডেস্ক: ঘটনা বাংলাদেশের। নাটোরে এক যুবতীর বিরুদ্ধে পুরুষের পোষাক পরে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সমকামীতায় অ্যভস্ত করাসহ এক স্কুল ছাত্রীকে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলা দিতে গেলে মা’মলা নেয়নি নাটোর থা’না পু’লিশ। আজ শনিবার দুপুরে নাটোর ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মৃ’ত স্কুল ছা’ত্রীর বাবা নাটোর শহরের চৌধুরী বড়গাছা মহল্লার আব্দুল কুদ্দুস এই অ’ভিযোগ করেন। পরে প্রেস ক্লাবের সামনে সাদিয়া হ’ত্যার বচিারের দাবিতে মানব বন্ধন করেন এলাকিাবাসী। তারা সাদিতয়া হ’ত্যার বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় নাটোর শহরের উপর বাজার এলাকার রুবেল হোসেনের মে’য়ে রুপা বন্ধুদের বাইক আর ক্যামেরা ধার নিয়ে টিকট’ক ভিডিও নির্মাণ করে নিজেকে রুপস ভাই বলে পরিচয় দিতো ।
নিজেকে নাটোরের টিকট’ক অ’পু ভাই বলে জাহির করা ব্যক্তিটি আসলে একজন নারী। রুপা খাতুন নামের এই মে’য়েটির কাজই ছিলো নিজেকে সুদর্শন পুরুষ দাবি করে স্কুল-কলেজগামী ছা’ত্রীদের প্রে’মের প্রস্তাব দেয়া। নিজেকে ধনীর সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়ে দরিদ্র পরিবারের মে’য়েদের বিলাসী জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রথমে প্রে’মের প্রস্তাব দিতো।
নিজেকে বাংলাদেশ জুটমিল করপোরেশন বিজেএমসি অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতো। তাতেও রাজি না হলে মে’য়েটি নিজের দুই হাত কে’টে এবং বিষ খেয়ে একাধিকবার প্রমাণ দিতো সে খাঁটি প্রে’মিক। প্রতিরাতে শহরের কালিবাড়ি দীঘির মাছ চু’রি করে বিক্রি করে ইয়াবা কেনা এবং নিত্যনতুন প্রে’মিকাদের পিছনে খরচ করতো। আপাদমস্তক নারী হলেও চলনে, বলনে, পোষাকে সুদর্শন পুরুষ মনে হতো তাকে। তাই অনেক মে’য়েই তার সঙ্গে স’ম্পর্ক জড়িয়েছে।
এক পর্যায়ে নারীত্বের বিষয়টা জানতে পেরে রুপাকে ছেড়ে গেছে। কিন্তু এরই মধ্যে ক্ষতি হওয়ার যা হয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় প্রতিদিন শহরের স্কুল ও কলেজ ছুটির সময় সে কয়েকজন বখাটে বন্ধুদের নিয়ে মে’য়েদের উত্যক্ত করা ছিলো তার কাজ। প্রতিদিন বিকেলে স্টেডিয়ামে বন্ধুদের সাথে আড্ডা, উন্মুক্ত স্থানে সিগারেট খাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুই ছিল পুরুষের মতো। ২০ বছর বয়সী রুপস বন্ধুদের সঙ্গে মিশে প্রথমে ইয়াবা, গাঁজা সেবন করা শুরু করে। একপর্যায়ে সমকামিতায় আসক্ত হয়ে পরে।
আব্দুল কুদ্দুস জানান, ৫ মাস আগে তার ছে’লে সনির সঙ্গে রুপার বোনের বিয়ে দেওয়া হয়। স’ম্পর্কে বিয়াইন হওয়ার সুযোগে রুপা তার মে’য়ে অষ্টম শ্রেণির ছা’ত্রী কি’শোরী সাদিয়াকে সমকামীতার স’ম্পর্কে প্রলুব্ধ করে ।
এক সপ্তাহ আগে সাদিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা জানতে পারে রুপা তার মে’য়েক নিয়ে পালিয়েছে। পরে সাদিয়ার পরিবার বিষয়টি নিয়ে রুপার নামে সদর থা’নায় জিডি করে। পরে সাদিয়ার সন্ধান পেয়ে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর গত ১৬ আগস্ট শনিবার রাত তিনটায় সবার অগোচরে বাসা থেকে পালিয়ে যায় সাদিয়া। পরে তারা জানতে পারে রুপা তাদের মে’য়েকে নিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানানো হয়।
১৭ আগস্ট রুপার বাবা রুবেল সাদিয়ার মাকে ফোন করে জানান, আপনার মে’য়েকে পাওয়া গেছে। আমা’র বাসায় এসে নিয়ে যান। তাৎক্ষনাৎ সাদিয়ার মা এবং আপন তিন চাচী রুপদের বাসায় যায়।
সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান রুপার বাবা, মা, দাদী লোহার রড এবং পাইপ দিয়ে সাদিয়াকে এলোপাতাড়ি পে’টাচ্ছে। তারা মে’য়েকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাদের বাসায় ঢুকতে দেয়া হয়নি।
রুপার বাবা রুবেল হোসেন বলেন, থা’না থেকে অ’ভিযোগ প্রত্যাহার করে এসে মে’য়েকে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে রুপা এসে জো’র করে সাদিয়ার মুখে গ্যাস ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেয়। নিজেও খায়। এর কিছুক্ষণ পরে সাদিয়ার শরীরে বিষক্রীয়া শুরু হলে অনেক আকুতি মিনতি করেই সাদিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতা’লে নিতে। কিন্তু রুপার পরিবার রাজি হয়নি। পরে অবস্থার অবনতি হলে সাদিয়াকে নিয়ে প্রথমে নাটোর আধুনিক হাসপাতা’লে নেয়া হয়।নাটোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাদিয়াকে রামেক হাসপাতা’লে প্রেরন করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকালেই মা’রা যায় সাদিয়া।
এ ব্যাপারে রাজপাড়া থা’নায় পু’লিশ ইউডি মা’মলা করে। সাদিয়ার বাবা অ’ভিযোগ করেন এ বিষয়ে নাটোর থা’নায় হ’ত্যা মা’মলা করতে গেলে পু’লিশ মা’মলা নেয়নি। তারা বলেছে পোস্ট ম’র্টেম রিপোটর্রে পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আব্দুল কুদউদস এ বিষয়ে সাদিয়ার হথ্যা মা’মলা গ্রহণ এবং রুপা ও তার পরিবারের দৃষ্টান্ত মূলক শা’স্তি দাবি করেছন।সংবাদ সম্মেলনে সাদিয়ার বাবা আব্দুল কুদউদস ছাড়াও মা এবং ভাই পারভেজ আলম ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রেস ক্লাবের সামনে সাদিয়া হথ্যার বিচারের দাবিতে মানব বন্ধন করা হয়।
এসব অ’ভিযোগ অস্বীকার করে রুপার বাবা রুবেল হোসেন বলেন, সাদিয়া নিজেই গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহ’ত্যা করেছে এবং আমা’র মে’য়ে রুপাকেও হ’ত্যার চেষ্টা করেছে। এবিষয়ে আম’রাও আইনের আশ্রয় নেব।
এ বিষয়ে নাটোর থা’নার ওসি (ত’দন্ত) আব্দুল মতিন বলেন, এ ধরণের অ’ভিযোগ নিয়ে নাটোর থা’নায় কেই আসেনি। তবে রাজা’পাড়া থা’নায় একটি ইউডি মা’মলা হয়েছে। সুতরাং মামসলা না নেওয়ার অ’ভিযোগ সঠিক নয়।
Post a Comment