এবার বৈদ্ধধর্মের ওপর হাত দিলেন জিংপিং



Odd বাংলা ডেস্ক: স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করতে তিব্বতকে ‘দুর্ভেদ্য দুর্গ’ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। এসময় তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মকেও সমাজতন্ত্র, চিনের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিব্বতের প্রতিটি তরুণের মনে চীনা প্রেমের বীজ বুনে দিতে বলেছেন শি জিনপিং। প্রত্যেক তিব্বতি তরুণের মনে চীনা প্রেমের বীজ রোপণ করা জন্য তিব্বতের স্কুলগুলোতে রাজনৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষাকে আরো জোরদার করা দরকার। 

তিনি আরো বলেন, বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াতে তিব্বতের জনগণকে শিক্ষিত করতে হবে। তিনি ওই অঞ্চলে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা জোরদার করার কথাও বলেন। তিনি আরো বলেন, তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মকেও সমাজতন্ত্র ও চীনের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া দরকার। চীনের সংবাদ সংস্থাগুলোতে এই খবর প্রচার করার পর থেকেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। 

তাদের আশঙ্কা, অধিকৃত শিনজিয়াংয়ে চীনা কমিউনিস্ট নেতৃত্ব যেভাবে ‘রাজনৈতিক শিক্ষা’র নামে উইঘুর মুসলিম যুবকদের বন্দি করে মগজধোলাই চালাচ্ছে, এবার তিব্বত স্বশাসিত অঞ্চলেও সেই নীতি বলবৎ হবে। এর আগে ১৯৫০ সালে তিব্বতের নিয়ন্ত্রণ নেয় চিন। নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এই ঘটনা ‘শান্তিপূর্ণ মুক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে এর মাধ্যমে হিমালয়ের প্রত্যন্ত এই অঞ্চলের সামন্তবাদী অতীতকে ছুঁড়ে ফেলতে সহায়তা করা হয়েছে বলে দাবি বেইজিংয়ের। কিন্তু তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাসহ অন্যান্য সমালোচকরা বলছেন, বেইজিংয়ের শাসন ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যার’ শামিল।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.