কুমিরের পেট কেটে বের করা হল ১৪ বছরের কিশোরকে



Odd বাংলা ডেস্ক: ১৪ বছরের এক কিশোরকে একটি কুমির জীবিত খেয়ে ফেলার তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার কুমিরের পেটের ভেতর থেকে টেনে বের করা হয় সেই কিশোরের দেহাবশেষ। কুমিরটি আক্রমণ করার তিন দিন পর এটিকে ধরে নদীর তীরে উঠিয়ে উপড়ে ফেলা হয়। দ্য সান’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩১ জুলাই মালয়েশিয়ার কুচিংয়ে নদীর তীরে রিকি গানিয়াকে শামুক সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছিলো। সেখানেই কুমিরের আক্রমণের শিকার হন তিনি। পরে কুমিরটি তলিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেটির পায়ের গোড়ালিতে চেপে ধরে তাকেও পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়।

এই ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী ছেলেটির খালা সাহায্যের জন্য ডাকার পর জরুরি সার্ভিস আসে। পরে তারা ১৪ ফুটের কুমিরটিকে ধরার জন্য একটি মুরগি টোপ হিসেবে ব্যবহার করে। তবে কিশোরের দেহটি পুনরুদ্ধার করে উপকূলে আনতে অনেক সময় লেগেছে। প্রতিবেদনটিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয়রা কুমিরের পেট কেটে তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সরিয়ে দেয়। কুমিরটির পেটটি তখন কেটে ফেলা হয়। সেখানে রিকি’র পরিহিত পোশাকগুলোর পাশাপাশি তার দেহের অঙ্গগুলোও পাওয়া গেছে। সারাওয়াক ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশনস সেন্টারের একজন কর্মকর্তা বলেন, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ছেলেটিকে যেখানে শেষবার দেখা গিয়েছিলো তার তিন মাইল দূরে কুমিরটিকে একটি মুরগির বাচ্চা টোপ হিসেবে দেয়া হয়। কুমিরটিকে তীরে এনে তার পেট পরীক্ষা করা হয়েছিলো। দুঃখের বিষয় ভিতরে মানুষের দেহাবশেষ ছিল এবং এগুলো সেই নিখোঁজ কিশোরের বলে চিহ্নিত করা হয়েছিলো। পরে জানাজা দেয়ার জন্য ছেলেটির দেহাবশেষ তার পরিবার বাড়িতে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, গত জুনে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর কালিমান্টনে একটি নদীতে মাছ ধরার সময় একটি কুমির ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.