ধর্ষণে অভিযুক্ত! মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরেও বেঁচে গিয়েছিলেন ইনি!


Odd বাংলা ডেস্ক :  অতিরিক্ত যৌন চাহিদা মানুষকে মুহূর্তের মধ্যে উন্মত্ত করে তোলে। ঠেলে নিয়ে যায় অপরাধ জগতে। শেষ করে দেয় কোনও নারীর সাজানো গোছানো জীবন। ঠেলে দেয় মৃত্যুর পথে। কিন্তু এমন অপরাধীদের পরিণতি কী হয়? মৃত্যুদণ্ড? যাবজ্জীবন? হ্যাঁ, অপরাধী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কঠিনতম শাস্তি পায় ঠিকই। কিন্তু এমন ঘটনা কখনও কি শুনেছেন? যা শুনলে পিলে চমকেও যেতে পারে আপনার।

রমেল ব্রুম। পেশায় তিনি ছিলেন একজন সেক্স ফ্রিক। তিনিই কিনা ঘটান নৃশংস কাণ্ড।

সাল ২০০৯। এমনই এক সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখে তিনি ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণ করেন। শুধু অপহরণ করেই ক্ষান্ত থাকেননি রমেল। এরপর ওই কিশোরীর উপর শুরু করেন শারীরিক নির্যাতন। প্রথমে ধর্ষণ, তারপর নির্মমভাবে হত্যা।

আরও পড়ুন: গ্রামে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ, তবুও মা হচ্ছেন নারীরা!

ঘটনার কিছুদিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় রমেল ব্রুমকে। এবং খুনের অভিযোগে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে মৃ্ত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। তবে ফাঁসি নয়, প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশানুযায়ী, নির্দিষ্ট দিনে তাকে বেঁধে ফেলা হয় শক্তভাবে। শুরু হয় ইঞ্জেকশন দেওয়ার প্রক্রিয়া। ঠিক তখনই ঘটে এক বিস্ময়কর ঘটনা। শত চেষ্টার সত্ত্বেও জল্লাদরা সুস্থ সবল রমেলের শিরা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সব মিলিয়ে মোট ১৮ বার তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ইঞ্জেকশন ফোটানো হয়। কিন্তু কিছুতেই তার মৃত্যু নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না।

টানা দু-ঘণ্টার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মৃত্যু না হলেও, ইঞ্জেকশনের তীব্র যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করেন তিনি। অবশেষে সেদিনের মত মৃত্যুদণ্ডের কার্যক্রম থামিয়ে দিতে বাধ্য হন জল্লাদরা। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু মৃত্যু সেদিন কিছুতেই ছুঁতে পারেনি রমেল ব্রুমকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.