অকারণ যৌনতা লালসার নামান্তর, মনে করতেন গান্ধীজী





Odd বাংলা ডেস্কঃ এই ধরীত্রির বুকে যত রকমের বিষয় রয়েছে, সেই সমস্ত বিষয়েই মহাত্মা গান্ধী তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করে গিয়েছেন। সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে স্থান পেয়েছে যৌনতাও। জানেন কী যৌনতা সম্পর্কে ঠিক কেমন চিন্তাভাবনা ছিল গান্ধীজির?

স্বামী-স্ত্রীর মিলনকে খুব একটা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতেন না গান্ধীজী।তাঁর কথায় সন্তানের জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন না পড়লে স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলন করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, যে স্বামী বলেন যে, তাঁর সন্তানের কোনও প্রয়োজন নেই, কিন্তু শারিরীক মিলন প্রয়োজন- তখন তা পাশবিক আচরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা যদি না থাকে তাহলে কখনওই এই পাশবিক আচরণের দ্বারা ভালবাসা কেবল লালসায় পরিণত হবে- যৌনতা সম্পর্কে এমনভাবেই ভাবতেন গান্ধীজী। 

পাশাপাশি খাবারের সঙ্গেও এই বিষয়টির তুলনা করতেন গান্ধীজী। কীভাবে? গান্ধীজীর কথায় খাবার যদি কেবল মনের শান্তির জন্য খাওয়া হয়, তাহলে তাও লালসারই নামান্তর। এই প্রসঙ্গে গান্ধী বলেছিলেন, ক্ষুধা নিবারণের জন্য কখনওই চকোলেট খাওয়া উচিত নয় বলেছিলেন গান্ধীজী। কারণ তাঁর কথায় কেউই শরীরের পুষ্টির জন্য চকোলেট খায় না। একইভাবে হুইস্কিকে বর্ণনা করে গান্ধীজী বলেন, এই ধরণের খাবার লালসা-কামনারই নামান্তর।

শারীরিক মিলন নিয়ে নিজের জীবনেরই উদাহরণ টেনে গান্ধীজি বলেছিলেন, তিনি যতদিন তার স্ত্রীয়ের প্রতি দৈহিক আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন, ততদিন পর্যন্ত তাঁদের মধ্যেকার বোঝাপড়া খুব একটা পো্ক্ত ছিল না, তাঁদের ভালবাসা কোনও উচ্চতায়চ পৌঁছতে পারেনি, বরং যত তিনি নিজেকে সংযত করে রাখতে পেরেছিলেন ততই তাঁরা একে অপরের কাছাকাছি আসা শুরু করেছিলেন। প্রসঙ্গত, ১৯৩৫ সালে একটি সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.