লকডাউনে ৬ মাস বন্ধ ছিল তাজমহল, আগ্রার পর্যটনশিল্পে ২,২০০ কোটি টাকার লোকসান




Odd বাংলা ডেস্ক: আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আগ্রার সমস্ত ধর্মীয় স্থান, শিক্ষাকেন্দ্র, স্কুল-কলেজ এবং আগ্রার আইকনিক তাজমহলের দরজাও খুলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য। এই পর্যায়ে রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের ওপর নূন্যতম সীমাবদ্ধতা রেখে খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। করোনা আবহে দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ ছিল তাজমহল। তবে নয়া নির্দেশিকা অনুসারে, তাজমহলের ভিতরে দুটি শিফটে পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, এবং তা ২৫০০-এর বেশি কখনওই হবে না। 

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে করা সমীক্ষা অনুসারে, আগ্রায় প্রায় ৬৫০টি রেজিস্টার্ড হোটেল, ৩,৫০০ রেজিস্টার্ড গাইড এবং ৮০০ রেজিস্টার্ড ফটোগ্রাফার রয়েছে। রেজিস্টার্ড নয় এমন গাইড এবং ফটোগ্রাফারের সংখ্যাও অনেক। এরা সকলেই গত ছয় মাস ধরে নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তিত ছিলেন। তবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের আসার অপেক্ষায় কার্যত দিন গুনছেন এরা সকলে। 

এর আগে, ঐতিহাসিক এই স্মৃতিস্তম্ভে সপ্তাহন্তে মোটামোটি ২০ থেকে ৩০ হাজার পর্যটকের আনাগোনা লেগে থাকত। তবে দীর্ঘ উইকএন্ডগুলিতে এই সংখ্যাটি ৫০ হাজার পর্যন্ত পৌঁছে যেত। করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন আগ্রার এই ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধটি বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যটন শিল্পের যে ক্ষয় হয়েছে তার যদি একটা প্রাথমিক গণনা করা হয় তবে এটি তা  ২২০০ কোটি টাকার আশেপাশে। মাত্র প্রবেশের টিকিটের দাম হিসাব করলেই ক্ষতি হয়েছে ৭২ কোটি টাকা।

আগ্রার পর্যটন কল্যাণ চেম্বারের সচিব বিশাল শর্মা জানিয়েছেন, তাজমহল পুনরায় খোলা হলে তা আগ্রার জন্য নতুন ভোর হবে এবং আশা করা যায়, শীঘ্রই আন্তর্জাতিক বিমানগুলি আবার চালু করা হবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকরা শহরে আবার আসতে শুরু করতে পারবেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.