'বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা আচমকাই ঘটেছে', সমস্ত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করল আদালত



Odd বাংলা ডেস্ক: ২৮ বছর আগে ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী-সহ মোট ৩২জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিল আদালত। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এদিন রায় পাঠ করার শুরুতে জানান, মসজিদ ভেঙে ফেলা 'পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না', এই ঘটনা আচমকাই ঘটেছে। পাশাপাশি মসজিদ ভাঙার অভিযোগের বিরুদ্ধে তেমন কোনও জোড়াল সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। পাশাপাশি বাবরি মসজিদ ভাঙার যে ভিডিও করা হয়েছে তার কোনও নেগেটিভ নেই সিবিআই-এর হাতে।

আদালত আরও মন্তব্য করেছে যে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলার দিন ঘটনাস্থলে উন্মত্ত জনতার ভিড়কে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন উপস্থিত বিজেপি নেতারা, কিন্তু করসেবকদের ভিড় তাদের বারন শুনতে রাজি হয়নি। বাবরি মসজিদ ভাঙার পর ১৯৯৩-র অক্টোবর মাসে বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল-এর মতো সংগঠনের ৪০ জন শীর্ষ নেতাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ২০১৯-এর নভেম্বরে বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানে রাম মন্দির বানানোর পক্ষে রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।


এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছিল যে, বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকে নষ্ট করেছে। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকে ঘিরে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে ধর্মীয় অশান্তি শুরু হয়, যার ফলে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। আজ রায় ঘোষণার দিন এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ৯২ বছর বয়স্ক লালকৃষ্ণ আডবাণী, ৮৬-বছরের মুরলী মনোহর যোশী কেউই বয়সজনিত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির ছিলেন না। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন উমা ভারতী। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন আডবাণী যোশীরা। অন্যদিকে এই রায়ে মোটেও খুশি নয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.