পাকা তালের এসব গুণ আগে জানতেন কি?



Odd বাংলা ডেস্ক:  চলছে বাংলা ক্যালেন্ডারের তালপাকা মাস। অর্থাৎ ভাদ্র মাস। এই সময় এতটা গরম পড়ে যে জনজীবন অতিস্ট হবার যোগাড়। তবে যাই হোক তাল পাকা গরমে তাল খাওয়ার কিন্তু অনেক সুবিধা আছে। এতে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। শহরে তালগাছ না থাকলেও বাজারে এরইমধ্যে পাকা তাল চলে এসেছে। 

পাকা তালের রস থেকে নানা ধরনের পিঠা, গুড়, মিশ্রি, পায়েস তৈরি হয়। তালের মধ্যে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও পুষ্টিগুণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেকে তো তাল দিয়ে জিলাপি, রসমালাই, রোল, পুলি পিঠা, তালের বড়া ইত্যাদিও তৈরি করেন।পাকা তালের খাদ্যপযোগী প্রতি ১০০ গ্রামে জলীয় অংশ ৭৭.২ গ্রাম, খনিজ ০.৭ গ্রাম, আঁশ ০.৫ গ্রাম, আমিষ ০.৭ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম শর্করা ২০.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯ মিলিগ্রাম ও খাদ্য শক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি রয়েছে। জেনে নিন এর স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো-


> এই সময়টায় বেশি করে তালের রস খেতে পারেন। যাদের ঘন ঘন ঠান্ডার সমস্যা দেখা দেয় তারা তালের রস বা মিশ্রি খেতে পারেন। কারণ তালের রস শ্লেষ্মানাশক। কফ সারাতে সাহায্য করে। 

> এটি প্রস্রাবের ইনফেকশন ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। রস থেকে তৈরি তালমিশ্রি সর্দি কাশির মহৌষধ, যকৃত ও পিত্ত সমস্যা দূর করে। 

>  তালের রসে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম।   

> তাল-দুধ, তাল-মুড়ি, আঁটির ভেতরের সাদা শাঁস খুবই মুখরোচক খাবার। এসব খাবার খেলেও মুখের রুচি বাড়ে। হজমও হয় ভালো। 

> পাকা তালের রস স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

> এছাড়া তাল ভিটামিন বি-এর আধার। তাই ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে তাল ভূমিকা রাখে।  

> তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক। অন্ত্রের রোগ ভালো করতে তালের ভূমিকা অসামান্য।      
Blogger দ্বারা পরিচালিত.