বাঙালির প্রিয় ভাত-ডাল-মাছেই লুকিয়ে রয়েছে আরোগ্যের চাবিকাঠি…



Odd বাংলা ডেস্ক: বর্তমানে সবাই ঘরের খাবারের থেকে বাইরের খাবারটাকেই বেশী পছন্দ করে। সব থেকে বড় কথা মানুষের হাতে সময় খুবই কম। কারণ বাড়িতে কর্তা আর গিন্নী দুজনেই খুব ব্যাস্ত। তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে কোন রকমে তাড়াহুড়ো করে অফিস বেড়িয়ে যায়। তারপর আবার ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়। তখন আর রান্না করে খাওয়ার মত এনার্জি থাকে না।

কিন্তু খেতে তো হবেই। তাই ওই চাইনিজ, মোমো, পাস্তা খেয়ে কাটিয়ে দেয়। তাছাড়াও আজকাল ঘরের ভাত, ডাল, মাছ খেতে কেউই খুব একটা পছন্দ করে না। কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখতে গেলে খেতে হবে ভাত, ডাল, মাছ, শুক্ত আর পোস্ত। কারণ এই সব খাবার গুলতেই আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন আর মিনারেল। এই সব খাবারের উপকার – 

১. রোজ নিয়ম করে এক বাটি করে ভাত খাওয়া দরকার। যেটা সাস্থের পক্ষে খুবই উপকারি। এটাতে কোন ফ্যাট থাকে না। এক বাটি করে ভাত খেলে আর সারাদিন কাজ করলে শরীরে কোন ফ্যাট জমতে পারে না।

২. ভাতের সাথে প্রথমে এক বাটি শুক্তো আর অল্প শাক হলে খুবই ভালো হয়। এই খাবার দুটির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, পটাশিয়াম, মিনারেল, যা শরীরের রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে। পেটের সমস্যা কমায়। 


৩. রোজ এক বাটি করে ডাল খান। ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন। যেটা আপনার শরীরকে রোগব্যাধি থেকে দূরে রাখবে। হার্টও খুব ভালো থাকবে।

৪. রোজ ভাত ডালের সাথে এক-দু পিস মাছ খান। কারণ মাছের মধ্যে আছে ভিটামিন ডি, আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, যা হার্ট এবং চোখের পক্ষে খুবই উপকারি। 

৫. এই সব খাবার ছাড়াও ভাতের সাথে যদি এক বাটি পোস্ত বা পোস্তর কোনো আইটেম সঙ্গে থাকে তাহলে কোন কথাই নেই। পোস্ত খুবই উপকারি একটি পদ যেটির মধ্যে আছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম যা হাড় এবং দাঁতকে শক্তপোক্ত রাখে। তার সাথে ট্রেস কমাতে সাহায্য করে পোস্ত।

৬. আমাদের সব রান্নায় বলতে গেলে সর্ষের তেল আর হলুদ ব্যাবহার করা হয়। তাই আমরা রোগ মুক্ত থাকি। কারণ তেল আর হলুদে রয়েছে বিশেষ গুন যেটা শরীরের মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সকল অংশকে সুস্থ রাখে। বিশেষ করে হার্টের সমস্যা আর ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ থেকে দূরে থাকা যায় সর্ষের তেল আর হলুদ রান্নায় ব্যাবহার করলে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.