নজিরবিহীন দাবানলে জ্বলছে সুমেরু, রেকর্ড মাত্রায় কার্বন নির্গমনে পরিবেশবিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ


Odd বাংলা ডেস্ক: নজিরবিহীন অগ্নিকান্ডে আলাস্কার ২০ লক্ষ  একর জমি। চলতি মরশুমে সুমেরু অঞ্চলে সর্বাধিক দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। গ্রিনল্যান্ড, সাইবেরিয়া ও আলাস্কার দাবানলের আগুনের শিখা ও ধোঁয়া এত উঁচু পর্যন্ত উঠেছিল, যার ছবি মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান। পাশাপাশি এই মরশুমের জুন মাসে সুমেরু অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল সর্বোচ্চ। 

গোটা অঞ্চলজুড়ে এ বছর ১০০টির বেশি দাবানলের ঘটনা ঘটে। রাশিয়ার ১১ থেকে ৪৯টি অঞ্চলে দাবানল দেখা দিয়ে। বিশ্ব আবহাওয়া দফতর ( WMO) এবং জাতিসংঘের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক তদারকি বিভাগ চলতি বছরে সুমেরু অঞ্চলের এই দাবানলকে 'নজিরবিহীন' বলে আখ্যা দিয়েছে। সাইবেরিয়ার ইরকুটস্ক, রাশিয়ার ক্রাসনোইয়াস্ক ও বুরইয়াতিয়ার দাবানলের অগ্নিশিখা সবচেয়ে উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছায়। 


দাবানলের ধোঁয়ার জেরে সাইবেরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর নভোসিব্রিস্কের বাতাস দূষিত হয়ে যায় এবং এই শহরের বায়ুতে অত্যধিক মাত্রায় সীসার উপস্থিতি দেখা যায়। গ্রিনল্যান্ডের সিসিমিউট এলাকায় এ মরশুমে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে দাবানল চলছিল। ফলে গ্রিনলান্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বরফের একটি বড় অংশ গলে যাওয়া শুরু করে। চলতি মরশুমে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে ৪০০-এর বেশি দাবানলের ঘটনা ঘটে। 

মার্কিন আবহাওয়াবিদ রিক থমাস বলেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত আলাস্কার প্রায় ২০ লাখ ছয় হাজার একর জমি পুড়ে গেছে। ইউরোপের জলবায়ু বিষয়ক সিনিয়র বিজ্ঞানী মার্ক প্যারিংটন বলেন, দাবানলের এই ঘটনা ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের শিক্ষক ও পরিবেশ বিষয়ক ভূগোলবিদ থমাস স্মিথ-এর কথায়, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের দাবানলের স্যাটেলাইট রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখা যায়, এসব দাবানলের অগ্নিশিখা এত উঁচুতে উঠেছিল যা গত ১৬ বছরের মধ্যে দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, শুধু পৃথিবীর উপরিভাগের বৃক্ষচ্ছেদনের ফলে সৃষ্ট তামপাত্রার কারণে নয়, পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের জলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় সৃষ্ট তাপের কারণেও দাবানলের উৎপত্তি হতে পারে। আর এসব দাবানল কয়েকদিন বা এক মাসেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়ে ব্যপক হারে গ্রীনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করতে পারবে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.