প্রথম সন্তান কন্যা হলে বাবার জন্য সে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে

Odd বাংলা ডেস্ক: সন্তান প্রতিটি পরিবারেই অনাবিল সুখ বয়ে আনে। যদিও অনেকেই চায় তার প্রথম সন্তান যেন ছেলে হয়। যা মোটেও ঠিক নয়। অনেকেই এমন আছেন যারা প্রথমে কন্যা সন্তান হলে মনে কষ্ট পান। ভাবেন যে তার দায় বেড়ে গেছে। আসলে ব্যাপারটি একদম ভুল।

বরং পরিবারের প্রথম সন্তান কন্যা হলে সে অনেক বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন হয়। কারণ তার অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকে। এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা সম্পন্ন একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, একজন বড় ছেলে একজন প্রথমজাত মেয়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম উচ্চাভিলাষী হয়। আপনি যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন পরিবারের বড় মেয়েরা অনেক সাফল্যের অধিকারী হয় কিন্তু ছেলেরা এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।

বিজ্ঞানীরা এখন এ বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণা করছেন। কেন ঘরের বড় মেয়েরা এগিয়ে যেতে পারে এর পেছনে তারা কিছু তথ্য সংযোগ করেছেন। আসুন জেনে নেয়া যাক সেসব তথ্যগুলো-

তারা স্বাভাবিকভাবে বেশি অর্জন করেন

একই পরিবারের ছেলেমেয়ের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ফলাফল ভাল দেখা যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও নোবেল পুরষ্কার-প্রাপ্তদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষ পরিবারের বড় সন্তান। তবে এক্ষেত্রে ছেলেরা এগিয়ে থাকলেও ঘরের বড় মেয়েরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়।

তারা শীর্ষ বিজ্ঞানী হন

আপনি বিজ্ঞানীদের একটু খোঁজ করলেই জানতে পারবেন যে নারী বিজ্ঞানীদের মধ্যে অধিকাংশ তাদের পরিবারের প্রথম সন্তান। তারা বিভিন্ন কৃতিত্বের অধিকারী।

তারা অভিভাবকের ভালোবাসা বেশি পায়

প্রথম সন্তানের প্রতি সব বাবা-মায়ের একটু বেশি ভালোবাসা থাকে। তারা অনেক বেশি যত্নের অধিকারী হন। প্রথম সন্তান তার পরবর্তী ভাইবোনের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি পড়াশোনা করতে পারেন। তাদের আগ্রহও বেশি থাকে।

তারা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী

ফোর্বসের তথ্যানুযায়ী, প্রথম সন্তান নারী হলে তারা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, খ্রীস্টিন লাগারদে, শেরিল সান্ডবার্গ থেকে শুরু করে অপরাহ উইনফ্রে এবং বেওন্স এরা সবাই ফোর্বস তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মহিলাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এরা সবাই তাদের প্রত্যেকের পরিবারের জ্যেষ্ঠ কন্যা।

তাদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা বেশি

এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ ও অর্থনৈতিক গবেষণা ইন্সটিটিউট ফেইফেই বু একটি গবেষণার পর ফলাফলে জানান, পরিসংখ্যানগত হিসেবে জ্যেষ্ঠ কন্যারা তার ভাইবোনের চেয়ে আরো ভালো, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ভাইবোনের মধ্যে চার বছরের ব্যবধান থাকলে, শিক্ষাগত যোগ্যতায় কনিষ্ঠ সহোদরের স্তর উন্নতি হতে পারে। জ্যেষ্ঠ কন্যারা তার ভাইবোনের চেয়ে কৃতিত্বের উচ্চ স্তর কেন ছুঁয়েছে সে হিসাবে অনেক ব্যাখ্যা আছে।