জুমে অনলাইন মিটিং চলাকালীন সেক্রেটারির সঙ্গে সঙ্গমে মা’তলেন সরকারি আধিকারিক!



Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা ও লকডাউনের সময়ে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। ভার্চুয়াল মিটিংয়ের জন্য বিশ্বজুড়েই ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে জুম অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই এক বা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি ভার্চুয়াল মিটিং করা সম্ভব। ভার্চুয়াল মিটিংয়ের সুবিধা যেমন আছে তেমন অসুবিধেও অনেক। তাই জুমের মাধ্যমে মিটিংয়ের সময়ে অসাবধানতার জন্য বিপত্তিও ঘটছে। সম্প্রতি এমনই একটি বিপত্তি ঘটেছে ফিলিপিন্সে। সেখানে জুমে ভার্চুয়াল মিটিং করার সময়ে নিজের সেক্রেটারির সঙ্গে যৌনতায় মেতেছিলেন এক সরকারি আধিকারিক। 

সেই ভিডিয়ো এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যার জেরে শাস্তির মুখে দাঁড়িয়ে ওই সরকারি আধিকারিক। গত ২৬শে অগস্ট ফিলিপিন্সের কাভিট প্রদেশের ফা’তিমা ডজ গ্রামের কাউন্সিলের বৈঠক চলছিল। জুমের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ফাতিমা ডজ গ্রামের কাউন্সিলের ক্যাপ্টেন জেসাস এস্টিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলের অন্য সদস্যরাও। সেই বৈঠক চলার সময়ই এই কাণ্ডটি ঘটে। বৈঠকের ফাঁকে চেয়ার থেকে উঠে সেক্রেটারির সঙ্গে যৌনতায় মাতেন এস্টিল। কাউন্সিলের এক সদস্যই সেই ভিডিও রেকর্ড করেন। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। 

ভি’ডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বৈঠক থেকে হঠাৎই উঠে যান এ’স্টার। তার পর দরজার কাছে গিয়ে এক মহি’লার সঙ্গে যৌ’ন’তায় মা’তেন। কিন্তু ল্যাপটপের ক্যামেরা যে তখনও চলছে, সেদিকে সম্ভবত দু’জনের কেউই খেয়াল করেননি। তার কিছুক্ষণ পর ফের বৈঠকে যোগ দেন এ’স্টার। ওই মহিলা এস্টা’রের সে’ক্রেটারি হিসাবে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভিডি’য়ো সামনে আসতেই বে’কায়’দায় পড়েন এ’স্টার। তাঁর বি’রুদ্ধে পি’টি’শন জমা দেন ফাতি’মা ড’জ গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমও এ’স্টারকে তুলো’ধনা করে। এরপরেই তাঁকে চাকরি থেকে সা’স’পেন্ড করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে ফিলিপিন্সের সা’মন ও ক’ম’প্লেন বিভাগের প্রধান রিচার্ড জেরোনিমো বলেছেন, ‘এটা কোনও সাধারণ অ’পরা’ধ নয়, মা’রা’ত্মক অপ’রা’ধ। তাঁর ক’ড়া শা’স্তি’র ব্যবস্থা করা হবে। স্টাফ মেম্বারদের অনুরোধও গ্রাহ্য করা হবে না।’ স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে এস্টা’রকে। 

Blogger দ্বারা পরিচালিত.