বজরংবলীকে যেখানে স্ত্রী রূপে পূজা করা হয়



Odd বাংলা ডেস্ক: রামচন্দ্রের সব থেকে বড় ভক্ত বজরঙ্গবলী আসলে চিরকুমার। সেই কারণেই তাঁকে ‘বাল ব্রহ্মচারী’ বলা হয়। অথচ, এ দেশের মাটিতেই রয়েছে এমন এক হনুমান মন্দির যেখানে তিনি পূজিত হন স্ত্রী-রূপে। ছত্তিশগড়ের রতনপুর জেলার গিরজাবন্ধে রয়েছে সেই মন্দির। যেখানে হনুমানের মূর্তিটি স্ত্রী রূপী। তাঁর বাম কাঁধে রয়েছে রাম ও ডান কাঁধে বসে সীতা। জানা যায়, এক সময় রতনপুরের রাজা ছিলেন পৃথিবী দেবজু। তিনি ছিলেন হনুমানের পরম ভক্ত। হঠাৎই রাজা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন। স্বাভাবিক ভাবেই মনঃকষ্টে ভুগতে থাকেন তিনি। এক দিন রাতে আরাধ্য দেবতা রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেন হনুমান মন্দির প্রতিষ্ঠা করার। তড়িঘড়ি মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেন রাজা পৃথিবী দেবজু। কাজ প্রায় শেষের দিকে যখন, তখন আরও একবার তিনি স্বপ্নাদিষ্ট হন। মন্দিরের কিছু দূরেই ‘মহামায়া কুণ্ড’ থেকে মূর্তি তুলে এনে তা মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করার আদেশ দেন পবনপুত্র। কিন্তু, মূর্তি তুলে আনার পরেই গোল বাধে। কারণ তা বজরঙ্গবলীর মূর্তি হলেও ছিল নারী রূপে। রাজা সেই মূর্তিই প্রতিষ্ঠা করেন মন্দিরে। এবং তার কিছু দিন পরে তিনি কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্তিও পান। মন্দির, বিশ্বাস, ভক্তি— সবই মনের ব্যাপার। ফলে ভক্ত হয়ে তো বটেই, বা পর্যটক হয়েও যাওয়া যেতে পারে দেশের একমাত্র হনুমান মন্দিরে, যেখানে এক ব্রহ্মচারীকেই দেওয়া হয়েছে নারীর রূপ। রইল সেখানে পৌঁছনোর দিক নির্দেশ—

• বিমানবন্দর— সব থেকে কাছের বিমানবন্দর রায়পুর, ১৪০ কিলোমিটার দূরত্বে। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে সোজা যাওয়া যায় রতনপুর বা বাসে করে বিলাসপুর।

• রেল স্টেশন— বিলাসপুর জংশন, রতনপুর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে।


Blogger দ্বারা পরিচালিত.