ডায়াবেটিক রোগীদের খাওয়া-দাওয়া কীরকম হওয়া উচিত
Odd বাংলা ডেস্ক: বর্তমানে মানুষের রোগবিহীন জীবন নেই বললেই চলে। প্রায় সকলেরই কিছু না কিছু রোগ লেগেই রয়েছে। সাধারণত সবচেয়ে বেশি যে রোগটা মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে তা হল ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে পড়লে ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস দেখা দেয়। ডায়াবেটিস এমন একটা রোগ যার কোনো সঠিক ওষুধ এখনও বের হয়নি।
কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হয়। খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখা যেতে পারে। সুগার দেখা দিলে সবার আগে যেই সমস্যার সৃষ্টি হয় তা হল খাওয়া দাওয়া। হাজার বিধিনিষেধ আসে খাওয়ার উপরে, এটা খাওয়া যাবে না, সেটা খাওয়া যাবে না।
এইসবের সাথে হতাশা বাড়তে থাকে। কিন্তু এই খাওয়া দাওয়ার কিছু নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস অনায়াসে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। অনেকেরই ধারণা থাকে মিষ্টি খাওয়া যাবে না, মাটির তলার জিনিস খাওয়া যাবে না, কিন্তু ব্যাপারটা সেটা নয়। কি খাওয়া হচ্ছে তার পরিমান কতটা তা মাথায় রাখতে হবে।
যাই খাওয়া হোক না কেন পরিমান মত খেতে হবে। অনেকের ধারণা সকালে একটু তেতো খেয়ে নিলে ভালো হয়। কিন্তু এইভাবে সুগার নিয়ন্ত্রনে থাকে না। সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য খাওয়ার অভ্যেসটা একটু বদলাতে হবে। দিনে ৬ বার খাওয়ার অভ্যাস করুন। তিনবার একটু ভারি তিনবার একটু হালকা।
তবে মাথায় রাখতে হবে একটি খাওয়ার থেকে আরেকটির মধ্যে যেন দুই থেকে তিন ঘন্টার বেশি ব্যবধান না থাকে। খুব অল্প তেল দিয়ে রান্না করতে হবে। যেই তেলই খান না কেন ১০ মিলিমিটারের উপরে যেন তেল খরচা না হয় রান্নায়।
যে খাবার মুখে রোচে না সেই খাবার খেতে হবে। খিদে পেলে অবশ্যই খান, কিন্তু ভাত রুটি নয়। আর ভাত রুটি খেতে হলে হিসাব করে খেতে হবে। ফল খান নিয়ম করে, স্যালাড খান। চাল গম থেকে যেসব খাবার তৈরি হচ্ছে সেইসব খাবার বাদ দিন, এমনকি হরলিক্সও। ভাত খেতে পারেন তাও ওজন মতো।
সম্ভব হলে দিনে ১ ঘন্টা হাটুন। সুগার নিয়ন্ত্রনে হাটার বিকল্প কিছু নেই। ১ ঘন্টা হাটতে না পারলেও অন্তত আধ ঘন্টা হাটুন। খেয়াল রাখতে হবে যাই হোক না কেন ট্রেস যেন না আসে। দরকার হলে মনোবিদের কাছে যান। কিন্তু ট্রেস আসতে দেবেন না। এইসব কিছু মেনে চললে ডায়াবেটিস সবসময় নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
Post a Comment